দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের এক্সক্লুসিভ নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই পল্টু বাইরে কাজ করছিল তখনই ওর সামনে দিয়ে ঝিলিক দেবার ঘরএর দিকে যায়। ফল্টু তখন ঝিলিককে ডাক দিয়ে বলে দরজাটা ভিতর থেকে লাগানো কিন্তু তুই কোথায় ছিলি। ঝিলিক তখন বলে আসলে আমি কাল রাতে আমার মায়ের কাছে ঘুমিয়ে ছিলাম। পল্টুর ঝিলিককে বলে দেবা অসুস্থ তুই ওর কাছে না ঘুমিয়ে তোর মায়ের কাছে ঘুমিয়ে ছিলি কেন। ঝিলিক তখন একটু অভিনয় করে বলে আসলে দেবা কাল রাতে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ কি জানতে চাইলে ঝিলিক বলে আসলে আমি ওকে বলেছিলাম এসব মারামারি না করতে। তাই ও আমাকে বেশি কথা বলে তাড়িয়ে দিয়েছে। কাল রাতে আমি যেন কল পাড়ে ঘুমিয়েছি। পল্টু তখন বলে তুই না বললি তোর মায়ের কাছে ঘুমিয়ে ছিলি। ঝিলিক তখন বলে আসলে স্বামীর মান সম্মান রক্ষার জন্য বলতে হয় অনেক সময়। একথা বলে একটু কান্নার অভিনয় করছিল তখন আঁখি ঘরের ভেতর থেকে ওদের দুজনের কথা শুনতে পান। তখন আঁখি দেবা কে ডেকে দেয় আর তারপর বল একটু বাইরে গিয়ে দেখো তো। দেবা তখন বাইরে আসে আর দেখে ঝিলিক ওখানে পল্টুর সাথে কথা বলছে। তখন দেবা ঝিলিককে নিয়ে ভিতরে যায়। ভেতরে যাওয়ার পর আঁখি বলে কি হয়েছে তুমি এমন কেন করছো ঝিলিক। ঝিলিক তখন বলে আসলে তোকে যেন দেবা কিছু না বলতে পারে তাই পাহারা বসিয়ে রাখলাম। তারপর ঝিলিক বলে আমি গৌরব এর সাথে সাঁতা বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি তোরা ভালো থাকিস। আঁখি তখন ঝিলিক কে ধন্যবাদ দেয় বলে আমাকে নতুন আঁখি বানিয়ে দেওয়ার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। ঝিলিক বলে তুই এরকমই থাকিস যেন তোর দেবা কে প্রয়োজননা হয় দেবার তোকে প্রয়োজন হয়। তারপর ঝিলিক ওখান থেকে চলে যায়।
এদিকে গৌরব মুখে একটা গামছা পেঁচিয়ে কলপাড়ে আসে পানি নেওয়ার জন্য। গৌরব এসে সবার আগে বালতি পেতে দেয়। তখন বস্তির মাসিদের সাথে গৌরব এর একটা ঝগড়া লেগে যায়। ওনারা বলে তুমি কে আগে আগে বলতে পেতেসো তোমাকে পানি নিতে দেবো না আগে। তখন গৌরব বলে আসলে দেখেন আমি প্রথমবার পানিতে এসেছি সেক্ষেত্রে আমাকে তো একটু ছাড় দেওয়া যায় আমি আগে পানি নেবো। তখনই ওদের কথা শুনে ওখানে ঝিলিক চলে আসে। আর এগিয়ে গিয়ে ওদেরকে থামায়। ঝিলিক গৌরব কে চিনতে পারে না তাই বলে আপনি কে আপনাকে আগে পানি দিতে হবে। আপনি যান ওই সিরিয়ালে গিয়ে পানি নিবেন। কিন্তু গৌরব সেটা মানতেই রাজি নয় ও আগে পান নিতে চায় তখন পাড়ার মাসিদের সাথে তর্ক করতে করতে গৌরবের গামছাটা সরে যাই। তখন ঝিলিক বলে কি ব্যাপার আমার পেয়ারে লাল পানি নিতে এসেছে সিরিয়ালে। তখন ঝিলিক বলে আপনাকে তো পানি নিতেই দেবো না আপনি এদিকে আসেন। ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্যদিকে চলে যায়। তারপর ওকে বলে আপনি এখানে কেন এসেছেন পানি নিতে। গৌরব বলে আসলে মা পানি নিতে আসছিল তা আমি বললাম আপনাকে যেতে হবে না আমাকে দেন আমি এনে দিচ্ছি। ঝিলিক তখন বলে আপনার কল পাড়ে একটা ছবি তুলে রাখার দরকার ছিল তাহলে আমি মাকে গিয়ে দেখাতাম বলতাম দেখেন আপনার ছেলে কত কাজের।
অন্যদিকে ছাতা বাড়িতে সবাই টেবিল এ নাস্তা করতে বসে। সবাই গতকালকে পিআরকে এর ভুলভাল কথা বলা নিয়ে চিন্তা করে গৌরবের মা তখন বলে আমার তো লজ্জা মাথা কাটা যাচ্ছে যা শুরু করেছেন উনি। পিসিমনি বলে দাদা তো এমন করে না এমন কোনো করলো কি জানি। তখনই সেখানে পিআরকে চলে আসে। আর বলেন নিশ্চয়ই এরা আমাকে নিয়ে আলোচনা করছে। এদেরকে রিতার কথা বলতেও পারছি না। তখন পি আর কে খাবার টেবিলে বসে আর বলে গৌরব কোথায়। গৌরবের মা যখন বলে কাল রাতে আঁখি বাড়ি ফেরে নি তাই গৌরব গেছে ওকে খুঁজতে। পি আর কে তখন চিৎকার করে বলে বাড়ির ছেলে বাড়িতে ফিরে নি সারারাত আর তোমরা এখানে নাস্তা করতে বসেছো। তখন সেখানে ঝিলিক আর গৌরব চলে আসে আর বলে আমাদেরকে নিয়ে তোমার এত ভাবতে হবে না তুমি তোমার নিজের কথা ভাবো। ঝিলিককে দেখে পি আর কে বলে তুমি কাল বলেসো যতক্ষণ না ও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে ততক্ষণ তুমি ওর মুখ দেখবে না তা সত্তে ও তুমি ওকে সাথে করে নিয়ে এলে কেন। গৌরব তখন বলে ও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছে তাই আমার সাথে। পি আর কে তখন মনে মনে ভাবে তাহলে কি ওরা আঁখি কে পেয়ে গেছে। এদিকে বাড়ির সবাই বলে জানতে চাই ওরা সারারাত কোথায় ছিল। ঝিলিক তখন বলে আমরা সারারাত মনদিরে ছিলাম। তখনই ওখানে রিতার আত্মা আসে আর পি আর কে কে বলে আর কত কি করবে তুমি প্রিয়। কখনো হাত পড়াচ্ছো কখনো মুখ পড়াচ্ছো। এখনো সময় আছে তোমার বড় ছেলে আর তার বউকে মেনে বাড়িতে উঠাও। পিআরকে তখন বলে তুমি আমার কিছু করতে পারবে না তোমাকে মেরে পুঁতে রেখে দেবো । এসব বলে ওখান থেকে চলে যায়। ঝিলিক মানে মনে মনে ভাবে এটা একটি পিআরকে নতুন চাল নাকি।
এদিকে পি আর কে তার রুমে গিয়ে বলে পেলান চেঞ্জ করতে হবে আখিকে মারা যাবে না। মারবো দেবা কে। তারপরও ওর লোকদেরকে কল দিয়ে বলে দেয়। অন্যদিকে আমরা দেখি বস্তিতে দেবা আখিকে বলেন আজকে তোমাকে নিয়ে বাইরে খেতে যাব। তুমি ফিরে এসেছো সেই জন্য। তারপর দেবা আখিকে একটা লাল শাড়ী দেয় দিয়ে বলে এটা তুমি পড়ো এটা আমি তোমার জন্য এনেছি। তারপর আঁখি আর দেবা দুজনে রেডি হয়ে বাইরে খাওয়ার জন্য যায়। ওরা দুজনে অনেক আনন্দ করে খাওয়া দেওয়া শেষ করে । তারপর বাড়িতে ফিরছিল তখনই রাস্তায় একটা গাড়ি খারাপ হয়ে আছে। সাথে কিছু লোক আছে ভেতরে জন্য একটা মহিলা আছে। একটা লোক বলে গাড়িটা খারাপ হয়ে গেল মাকে বাঁচাতে পারবে না দেরি হলে। তখন দেবা গাড়ি থেকে নেবে বলে আমি একটা মিস্ত্রি দিন আমি গাড়িটা সেরে দিচ্ছি। তারপর দেবা গাড়িটা ঠিক করে। এদিকে আখি ফোনে কথা বলছিল। তখনই ওখানের ওই লোকটা দেবার দিকে করে ওকে গুলি করে দিয়ে চলে যায়। আঁখি তখন দেবার কাছে আসে আর অনেক কান্নাকাটি করে। তারপর নিজে নিজে ভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না আমাকে কিছু একটা করতেই হবে। ও অনেক গাড়ি দাঁড় করাতে যায় কিন্তু যে কোন গাড়ি তখন ওদেরকে নিতে রাজি হচ্ছিল না। তারপর আঁখি দেবাকে ওর কোলের উপরে মাথা দিয়ে শুয়ে দেই আর কান্না করতে থাকে।