দেবা ঝিলিক আঁখি গৌরব মুখোমুখি আগামী পর্বের আপডেট




নতুন পর্বের আপডেট,


পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই গোরা জ্ঞান হারিয়ে বিছানার উপরে ঘুমিয়ে পড়লে ওর হাতের খাম গুলো নিচে পড়ে যায়। ঝিলিক তখন নিচে থেকে খামগুলো নিয়ে বাইরে চলে আসে। বাইরে এসে ও খাম গুলো দেখতে থাকে ওর ভিতরে কে আছে দেখতে দেখতে  একটা ছবি দেখে ছবিতে দেবার মাকে দেখতে পাই তখন ওর মনের ভিতর একটু সন্দেহ জাগে। ঝিলিক মনে মনে ভাবে পিআরকের সাথে রিতা মাসির কি সম্পর্ক। আর ছোট বাচ্চাটা কে দেখতে দেবার মত লাগছে অনেকটা। তারপর ও চিঠিগুলো পড়া শুরু করেখাম এর ভেতরের। চিঠিগুলো পড়ে ও খুব ভালো করে বুঝতে পারে যে রিতা মাসির সাথে পিয়ারকের একটা সম্পর্ক ছিল আর পি আর কে রিতা মাসিকে ঠকিয়েছে। আর দেবার বাবা আর কেউ নয় পিয়ারকে। দেবা হলো পিয়ারকের বড় সন্তান। কিন্তু এটা বুঝতে পারে পিয়ারকে দেবা আর ওর মাকে স্বীকৃতি দেয়নি। এগুলো দেখার পর ওভাবে আমার আখির সাথে কথা বলতেই হবে। তারপর ঝিলিক আঁখি কে কল করে। আঁখি ও শুয়ে শুয়ে ওর মায়ের কথা ভাবছিল। ঝিলিক ফোন করে বলে আঁখি তোর সাথে আমার অনেক কথা আছে কাল আমার সাথে দেখা করবি। আখি বলে কেনো কি সমস্যা হয়েছে মা ঠিক আছে তো। ঝিলিক বলে হ্যাঁ ঠিক আছে আমি সুপ খাইয়ে দিয়েছি ঘুমিয়ে পড়েছে। ঝিলিক আখির সাথে কথা বলছিল তখনই সেখানে গৌরব চলে আসে। বলে তুমি কার সাথে দেখা করবে। আখি তাড়াতাড়ি কল কেটে দেয়। ঝিলিক বুঝতে পারে না ও কি বলবে।



তারপর একটু বুদ্ধি করে বলে কাল তো ঠাকুর আনতে যাবো তাই কথা বলসিলাম। গৌরব বলে তোমার হাতে ওগুলো কিসের খাম। ঝিলিক মনে মনে ভাবে এখনই ওকে সবটা বলা যাবে না। তারপর একটু বুদ্ধি করে ঝিলিক বলে প্রেমপত্র। কার প্রেমপত্র জানতে চাইলেও বলে আমি লিখেছি আপনার জন্য। গৌরব বলে তাহলে আমাকে দাও আমি একটু পড়ি। কিন্তু ঝিলিক তখন বলে এটা পুজোর আগে পড়া যাবে না মার পায়ে ঠেকিয়ে তারপর আপনাকে দিবো। গৌরব বলে এটা আবার কেমন নিয়ম আগে দাও কিছু হবে না আমি পড়বো। ঝিলিক তখন বলে আগে পড়লে প্রেম টা গেটে যাই নেন তাহলে আপনি পড়ুন। গৌরব চিঠি গুলো নিতে গিয়ে তারপরে ভাবি যে না থাক একবারে পুজোর পরে পড়বো। তারপর ওখান থেকে চলে যায়। তারপর ঝিলিক একা একা ভাবে পিয়ার কে রিতা মাসি আর দেবা কে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। রিতা মাসি যে তাকে কতটা ভালবেসেছিল সেটাই চিঠিগুলো পড়লেই বোঝা যাচ্ছে। পিআরকের পুরোটাই হচ্ছে পাপের পাহাড়। তারপর ভাবে এত সহজে তুমি পার পাবে না পি আর কে। ওদের সাথে করা অন্যায়ের প্রতিটার জবাব তোমাকে দিতে হবে। অন্য দিকে বস্তিতে দেবা পল্টু চার আনা ওরা সবাই মিলে পুজোর জন্য চাঁদা তোলা নিয়ে মিটিং করছিলো। তখন সেখানে আঁখি আসে আর দেবা কে একটু সাইটে ডাক দেয় তারপর বলে। কাল রাতে তুমি ঘুমিয়ে পড়লে ঝিলিক কল করেছিল বলল আমার সাথে একটু দেখা করবে কি যেন বলবে। আমি কি যাবো তখন দেবা বলে ঠিক আছে যাও সাবধানে যাবে। তখন আঁখি ঝিলিকের সাথে দেখা করতে যায়। ঝিলিক আঁখি কে দেখে বলে আঁখি তুই কি দেবার বাবা সম্পর্কে কিছু জানিস। আঁখি বলে না ও কখনো বলেনি আমাকে কিছু। ঝিলিক তখন ওই ছবিগুলো বের করে আখিকে দেখায়। আঁখি বলে পি আর কে এর পাশে ওই বাচ্চা আর ওই মহিলাটা কে। আমি এই ছবিটা দেবার মানিব্যাগে দেখেছি। ওর কাছে জানতে চাইলেও বলেছে এটা ওর কোন আত্মীয় হয় পিআরকে নাকি ওদের অনেক ক্ষতি করেছে। ঝিলিক তখন বলে ও তোকে মিথ্যে বলেছে ওই মহিলাটা হচ্ছে দেবার মা রিতা মাসি। আর ওই ছোট বাচ্চাটা হচ্ছে দেবা।



অন্যদিকে পিয়ার কে অফিসে এসে দেখে ওর ছবিটা নিচে পড়ে ভেঙ্গে আছে। আর ছবির পিছনের যে ফাইলগুলো ছিল ওগুলো নাই। ও পাগলের মতো ওগুলো খুজতে থাকে। ওখানে আখির একটা ফাইল ছিল যেটা দেখিয়ে আঁখি কে পি আর কে রজতাবলাহেরির কাছ থেকে এনেছিল। তারপর অনেকক্ষণ খোঁজার পরে ওই ফাইলটা পায়। কিন্তু তারপরে হঠাৎ করে মনে পড়ে ওই ফাইলের ভেতর আরো কিছু খাম ছিল। যে খামগুলো রিতা পিআরকে কে পাঠিয়েছিল।পিআরকে কে বলে কখনো খুলে দেখি নি ভিতরে কি ছিল কিন্তু ধারণা করছি নিশ্চয় ওর ছেলে সম্পর্কে কোন কিছু লিখেছিল। ওগুলো কারো হাতে পড়ে গেলে তো পরে ব্ল্যাকমেইল করবে আমাকে। ওগুলো অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু কোথাও পায়না। তখন সেখানে গার্ড সেজে আসে অনিমেষ রায়। বলে স্যার কি হয়েছে আমাকে বলেন। ছবিটা কিভাবে ভেঙেছে জানতে চাইলে তখন ও মনে মনে ভাবে নিশ্চয়ই এটা গোরার কাজ। তারপর পিয়ারকে কে বলে হয়তোবা বাতাসে পড়ে গিয়েছে। আমার কাছে দিন আমি এটা ঠিক করে এনে দিচ্ছি। তাই বলে অনিমেষ ওটা নিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। চলে যাবার সময় অনিমেষ রায় মনে মনে বলে পিআরকে তোমার বিদায় ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে। এবার শুধু দিন গোনার পালা।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!