দুই শালিক নতুন পর্বের ঝিলিক খুঁজে বের করবে আখিঁর বাবাকে

দুই শালিক  নতুন পর্বের ঝিলিক খুঁজে বের করবে আখিঁর বাবাকে


দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের নতুন পর্বের আপডেট,


পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই দেবা জুডোর মেয়েদেরকে বলে আজকের মত ক্লাস শেষ তোরা এখন এখান থেকে যা। আঁখি দেবাকে বলে তুমি কি আমাকে বাঁচাতে এসেছিলে নাকি মজা দেখতে এসেছিলে। দেবা বলে জানিনা। তুমি আমার সামনে থাকলে রাগ হয় আর না থাকলে মনে হয় আমার কি যেন নেই। একটা মিথ্যে যেন আমার কাছে আস্তে আস্তে সত্যি হয়ে উঠছে। আখি দেবাকে বলে কোনটা মিথ্যে আর কোনটা সত্যি সেটা বুঝতে তোমার আরো সময় লাগবে।তারপর আঁখি ওখান থেকে চলে যাই। আঁখি তার বাসায় এসে ড্রেস চেঞ্জ করে শাড়ি পড়ছিল তখন সেখানে দেবা চলে আসে এসে দরজা ভেতর থেকে লক করে দেয়। ব্যাকগ্রাউন্ড একটা মিউজিক বাজতে থাকে। দেবা আসতে আসতে আখির কাছে আসে তারপর আখিকে নিজের দিকে টেনে নেয়। দেবা আখির অনেক কাছে আসে। তারপর আঁখি ওখান থেকে সরে যায়।


অন্যদিকে পি আর কে অফিসে বসে বসে তার মিটিং এর অপমানের কথা চিন্তা করছিল। আর ভাবছিলাম এখন আমার বাঁচার একটাই রাস্তা। অনিমেষ কে কিডন্যাপ করে ওর বউ আর মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেখিয়ে সমস্ত প্রোপার্টি আমার নিজের নামে করে নিতে পারব। তখন সেখানে কাকুমনি চলে আসে। বলে ভাই তুই আমাকে সাহায্য কর তোর বৌদি অনেক অসুস্থ অনেকগুলো টাকার দরকার। তুই আমাকে টাকা গুলো দে। কিন্তু পিয়ার কে কিছুতেই টাকা দিতে রাজি হয় না। তাদের এসব কথা আঁখি আড়াল থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে শুনছিল।তারপর অনেক ভেবে চিন্তে বলে আমি তোমাকে টাকা দিতে পারি কিন্তু তার বিনিময়ে আখিকে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে। তখন আঁখি সামনে আসে আর বলে কি কাজ করতে হবে আমাকে বলুন কাকু মনিকে কেন বলছেন। পিয়ার কে তখন বলে এ তো দেখি মেঘনা চাইতে জল। ঝিলিক তখন বলে যার চাল ফুটো তার কাছে এই জলে বিষ ফোড়ার মতো। কাটতেও পারবেনা আবার রাখলে টনটন করবে। তারপর কাকু মণিকে বলে কাকু মনি আপনি ঘরে গিয়ে রেস্ট নেন আমি ঠিক কোন একটা ব্যবস্থা করব আপনার এত চিন্তা করা লাগবে না।


তারপর ঝিলিক পি আর কে কে বলে আপনি বড় হয়ে গেলেও না আপনার আবদার গুলো বাচ্চা মানুষের মত। আপনি যে আপনার ছেলেকে উস্কাইসেন আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য কিন্তু আমি তো আপনার ছেলেকে ডিভোর্স দেবো না। এবার বলুন আপনার আবদার টা কি। পি আর কে বলে তোর সই লাগবে। ঝিলিক তখন বলে এমনি নেবেন আসলে আমি ব্যবসাদার বাড়ির বউ আমি তো লাভ লোকসান সব না দেখে সই করি না কোথাও। পি য়ার কে বলে সই টা করে দে তোকে কিছু টাকা দেবো। ঝিলিক তখন বলে ও মা আমার টাকা আপনি আমাকেই দেবেন। পিয়ার কে বলে তোর টাকা মানে। ঝিলিক উত্তর দেয় আমার টাকা যদি নাই হবে তাহলে আমাকে দিয়ে কেন সই করাবেন। কি দরকার আমার সই। প্রতিবছর আমার জন্মদিনের দিন আমাকে উকিল কাকুর কাছে নিয়ে গিয়ে সই করেন। টাকা তো আপনি দেবেনই জেঠি  মনির  চিকিৎসার সমস্ত খরচ আপনি দেবেন। আর আমি ভাবছি এরপর থেকে যেখানেই সৈক করবো সেখানে আমার বাবার নাম দেবো। কে আমার বাবা পি আর কে স্যার। ওনার নাম কি। উনি কি এখনো বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন। আমাকে এগুলো জানান তারপরে আমি সই করব। আমার বাবার নাম কি অনিমেষ রায়। আপনি তো আমাকে বলেছেন আমার বাবা আপনার কোম্পানির একজন কর্মচারী ছিল। কিন্তু আমার তো মনে হয় ব্যাপারটা উল্টো। আপনি আমার বাবার কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন।


দুই শালিক  নতুন পর্বের ঝিলিক খুঁজে বের করবে আখিঁর বাবাকে


তা না হলে আমার নামে এতগুলো টাকা কি করে আসবে।পি আর কে তখন মনে মনে বলে আখি কি সবটা জেনে আমার কাছে এসেছে শিওর হওয়ার জন্য। পি আর কে আঁখি কে বলে তুই সই করবি কিনা বল। ঝিলিক বলে সই করব আমার দাবি গুলো পূরণ করার পরে। পিয়ার কে তখন ঝিলিককে বলে তোর মরার পালক উঠেছে। ঝিলিক বলে অনেক আগেই উঠেছে সেই পালক এখন ডানাতে পরিণত হয়েছে আর আমি সেই দানা দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছি। আপনি আমার কিছুই করতে পারবেন না। আমি একটা কাগজে লিখে দিয়েছি আমার মৃত্যু হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন আপনি। আর সেই কাগজটা আছে দেবার কাছে। এরপর ঝিলিক পেয়ার কে রুম থেকে এসে কাকু মনির সাথে কথা বলে। বলে ভরসা করেছেন যখন তখন আর চিন্তা করেন না। আমি তো আছি যে কোন একটা ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাবে।


অন্যদিকে পি আর কে ভাবে অনিমেষ কে খুঁজে পাওয়ার আগেই ওকে হেফাজতে নিতে হবে। আর একটাই রাস্তা উকিল বাবু রজতাভো লাহেরি । তখনই তার কাছে একটা কল আসে। বলে আমি অনিমেষ। কেমন লাগলো তোমার প্রেজেন্টেশন মজা পেয়েছো তো। বলে ঘড়ির কাঁটা এবার উল্টো দিকে ঘুরবে তোমার সময় শেষ। এদিকে আমরা দেখি দেবা তার ঘরে এসে দেখে আখি তার ঘরটা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে।এ দিকে ছাতা বাড়িতে রাইমা অর্ক এর উপর চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। বলে তুমি একটা লুজার তুমি আমার লাইফটা নষ্ট করে দিয়েছে। তোমার শুধু সাঁতা বাড়ির সেলে নাম এর তকমা টাই আসে। রাইমা অর্ক এর সাথে ঝগড়া করে ওখান থেকে চলে যাই। ঝিলক এসব শুনে বলে আজকে এদের সাঁতা কোম্পানি থাকলে সবাই কে আর ওই পি আর কের উপর ভরসা করে থাকতে হতোনা।


দুই শালিক  নতুন পর্বের ঝিলিক খুঁজে বের করবে আখিঁর বাবাকে

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!