দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই আখি রান্না করছিল তখন সেখানে দেবা আসে আর অপলক দৃষ্টিতে আখির দিকে তাকিয়ে থাকে। মনে মনে বলে ওকে দেখে আমার এমন হচ্ছে কেন ওতো ঝিলিক নয়। তারপরও কেন আমি নিজেকে আটকে রাখতে পারছি না ওর থেকে। এসব ভাবছিল আর ব্যাকগ্রাউন্ড একটা সুন্দর মিউজিক বাজছিল। আঁখি তখন একটা বাটিতে একটু মাংস তুলে নিয়ে দেবার কাছে যাই বলে দেখো তো লবণ ঠিক আছে কিনা। দেবা খায় কিন্তু কিছু না বলে সেখান থেকে চলে যায়। অন্যদিকে আমরা দেখি ছাতা বাড়িতে গৌরব সকলকে বলে জেঠি মনির অপারেশনের জন্য আমাদের টোটাল আট লাখ টাকা মতো এরেঞ্জ করতে হবে। এত টাকার কথা শুনে তো অর্ক ভয় পেয়ে যায়। অর্কের বউ বলে এত টাকা আমরা কোথায় পাবো গৌরব। গৌরব বলে তোমাদের পুরোটা দেওয়া লাগবে না আমি পাঁচ লাখ টাকা দেবো তোমরা শুধু তিন লাখ টাকা ম্যানেজ করলেই হবে। আতর বলে তুই এত টাকা কেন দিবি গৌরব দাদাও তো দেবে। অর্কের বউ বলে তোমার দাদা টাকা কোথায় পাবে তিন লাখ টাকা আমাদের কাছে অনেক।
কাকুমনি অর্ক কে বলে অফিস থেকে তো লোন নেওয়া যায়। অর্ক বলে এখন অফিস থেকে লোন নেওয়া যাবে না, অফিসের পরিস্থিতি এখন তেমন নেই আগের মতো। কাকুমনি বলে তোর মায়ের অসুখ আর তুই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিস।অর্ক তক্ষণ রেগে গিয়ে বলে আমি এখন কি করবো আমার কাছে কি টাকার গাছ আছে নাকি যে আমি গাছ থেকে টাকা পেরে দেবো। অন্যদিকে আখি রান্না শেষ করে সবাইকে খেতে দেয়। পল্টু বলে তোর রান্না এত মজা হয়েছে না এমন রান্না করলে তো হাড়ি হাড়ি ভাত শেষ হয়ে যাবে। দেবা তখন বলে তুই যতটা বলছিস অতটা ভালো হয়নি। পল্টু বলে যদি ভালো না হয় তাহলে তুই এতগুলো ভাত কি করে খেলি। নিজে তো একেবারে আঙ্গুল চেটেপুটে খাচ্ছিস। তখন দেবা আর কিছু বলে না চুপ করে থাকে। আঁখি দেবা কে বলে তোমাকে আর দুটো ভাত দেই। দেবা বলে না লাগবে না। তখন আখি বলে ভয় নেই আমার জন্য আছে। তারপর আঁখি দেবাকে দেখায়। তখন দেবা বলে ঠিক আছে অনেক বেলা হয়েছে এবার তুমিও খেতে বসো। আঁখি ভাত নিয়ে নিজেও খেতে বসে দেবার পাশে।
আঁখি তার প্লেট থেকে দেবা কে একটু মাছ উঠিয়ে দেয়। দেবা আখির দিকে তাকিয়ে থাকে তখন আঁখি বলে কেমন হয়েছে খেতে। দেবা কিছুই বলে না নিজে তার মত করে চেটেপুটে খাই। আঁখি দেবার দিকে তাকিয়ে থাকে আর মনে মনে হাসতে থাকে। অন্যদিকে ছাতা বাড়িতে অর্ক টাকা ম্যানেজ করতে পারবে না বলে ওখান থেকে চলে যাচ্ছিল তখন আতোর অর্ককে ডেকে বলে দাঁড়া দাদা ভাই। তোর কি হিউম্যানিটি বলে কিছু নেই। অর্কের বউ বলে চুপ করো আতর এতে হিউম্যানিটির কি আছে তোমার দাদার পক্ষে এখন লোন নেওয়া সম্ভব নয় তো বললই। তারপরও আমাদের একটা মেয়ে আছে তার ভবিষ্যতের কথা তো আমাদের ভাবতে হবে। আতোর বলে আমার বাবা-মাওতো চেয়েছে তাদের বিপদের দিনে তাদের ছেলে তাদের পাশে থাকবে। ও এটলিস্ট বলতে পারতে যে আমি চেষ্টা করে দেখব না কেন বলল। অর্ক তক্ষণ বলে চেষ্টা করেও লাভ নেই কারণ চাকরিটাই আমার আর নেই। পুজোর আগে থেকে চাকরি নেই কিন্তু আমি তোমাদের সেটা জানায়নি।
অর্কের বউ তখন বলে তোমার লজ্জা করে না তুমি এতদিন মিথ্যে কথা বলে এসেছো। তুমি তোমার মেয়েকে আদর করো কোন মুখে। মেয়েকে তো একটা চকলেট কিনে দিতে পারো না। তুমি না একজন ভালো বাবা, না একজন ভালো স্বামী। তোমার তো লজ্জা করা উচিত। আঁখি তখন অর্কের বউকে বলে লজ্জা দাদাভাইয়ের না লজ্জা তোমার করা উচিত বৌদি। দাদাভাইয়ের খারাপ সময়ে তুমি তার পাশে থাকবে কি না তুমি এমন করছো। আমার শ্বশুরমশাই এর খারাপ কাজের সঙ্গী হয়ে টাকা কামিয়েছো। মেয়েকে তো ভালোভাবে দেখো না। আর দেখবে কখন যে সময় পাও ততক্ষণ তো আখিকে কিভাবে জব্দ করা যায় সেটাই ভাবো। অর্কের বউ তখন আখি বলল চিৎকার করে ওঠে। আখিও সাথে সাথে উত্তর দেয় একদম চিল্লাবে না। এই আঁখি আলাদা আমি মরতে আসিনি আমি মারতে এসেছি। অকর্মন্য অপদার্থ দাদাভাই নয় তুমি। স্ত্রী হিসেবে যেকোনো ছেলের কাছে তুমি লজ্জার। তখন অর্কের বউ সেখান থেকে চলে যায়। অর্ক তখন ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে আর বলে আমাকে ক্ষমা করে দাও বাবা। গৌরব এসে বলে তুই টেনশন করিস না দাদাভাই আমরা সকলে আছি তো আমরা সবাই মিলে জেঠি মনিকে সুস্থ করে তুলবো।
অন্যদিকে আখির সেলাই মেশিনটা দেবার গ্যারেজে নিয়ে আসে। দেবা বলে এখানে এসব করা চলবে না। আঁখি বলে তুমি তো চেয়েছিলে যে আমি এখানে বসেই সেলাই করি। দেবা বলে এখন আর চাইছি না। পল্টু বলে সমস্যা কি আগে না হয় ঝিলিক করতো আর এখন না হয় ঝিলিক বৌদি করবে। তারপরে ওরা ওখানে মেশিনটা সেটআপ করে দেয়। দেবা তখন সাইডে গিয়ে ঝিলিকের জুডোর মেয়েদের কাছে কল দিয়ে বলে। তোদের জুডোর ক্লাস কি বন্ধ হয়ে গেছে নাকি ওখানকার মালিক কিন্তু বলেছে প্রতিদিন জুড়ে ক্লাস না হলে জায়গাটা নিয়ে নেবে। তোদের ঝিলিক দিদিকে শিগগিরি এসে নিয়ে যা আর আমি যে ফোন করে বলেছি এটা কিন্তু বলবি না। তারপর দেবা এসে গান বলতে থাকে আর কাজ করে। আঁখি পোল্টু এবং চার আনা মনে মনে ভাবে কি হল এই তো মুখ গোমড়া করেছিলে, এখন আবার গান গাইছে। তখন যেখানে জুডোর মেয়েরা চলে আসে আর বলে ঝিলিক দিদি তুমি শিগ্রই চলো আমাদের জুডের ক্লাস করাবে।
জুডোর মেয়েরা ঝিলিককে ওখান থেকে নিয়ে চলে যায়। দেবা তাকিয়ে তাকিয়ে হাসতে থাকে। ঝিলিক যেখানে এসে রেডি হয়ে মনে মনে ভাবে। ওদের কি শেখাবো এখন আমি তো কিছুই পারি না এক্ষুনি তো ধরা পড়ে যাব বাজে লোক একটা শুধু শুধু আমাকে ফাঁসিয়ে দিলো। তখন সেখানে দেবা ও চলে আসে। আখি বলে শুরু কর তোরা। জুডোর মেয়েরা বলেও ঝিলিক দি কি শুরু করবো তুমি তো বলেছিলে তুমি নতুন করে শেখাবে। দেবা ও বলে শুরু করা শুরু করো তাড়াতাড়ি। আঁখি মনে মনে ভাবে ঝিলিক যেভাবে ফাইট করেছিল ওভাবেই কিছু একটা দেখাতে হবে। এরপর আখি একটা মেয়েকে ডেকে বলে আয় দেখ তোকে কিভাবে ফেলি। ওকে ফেলতে গিয়ে নিজেই পড়ে যায়। দেবা তখন হাসতে থাকে। আজি মনে মনে বলে কি বাজে লোক একটা আমি পড়ে গেছি আর ও হাসছে। জিলেট আবারো উঠে বলে আচ্ছা শোন চল তোদেরকে একটা নতুন কিছু শেখায়। অনেকে মিলে হামলা করতে আসে তখন কি করবে। এরপর হাত-পা ছুটতে থাকে একদিকে সবাই ওর কান্ড দেখে তো হাসতে থাকে। এমন করতে করতে আঁখি ছুটে গিয়ে দেবার কোলের ভিতর পড়ে। দেবা বলে আমার বুকের ভেতর ভেতরটা এমন করছে কেন আমি তো ওকে ভালোবাসি না তারপরও এমন কেন হয়।