গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের আজকের নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই শুভ লাগেজ গুছিয়ে নিয়ে বের হয় বাসা থেকে চলে যাবার জন্য। নিচে নামলে দাদু এবং ঠাম্মি শুভকে বলে কিরে তুই কোথায় যাচ্ছিস। নিজের বাড়ি ছেড়ে কি কেউ কখনো কোথাও যায়।এ দিকে মেজো কাকু মনি মেজো কাম্মাকে বলে বড় বৌদি এবার একটু বেশিই করছে। আমরা মানছি ছেলেমেয়েরা না হয় ভুল করেছে তাই বলে ওদের সাথে এমন করতে হবে। মেজোকাম্মা তখন বলে তারমানে তুমি বলছো বড় দিদিভাই ঐ গোল্ডিগার কে মেনে নেবে। কাকুমনি বলে আমি বুঝলাম না বড় বৌদির না হয় ছেলের বউ কিন্তু তোমরা তার সাথে কেনো এমন কোমর বেঁধে লেগেসো । মেজো কাম্মা বলে তুমি কতটুকু সময় দাও বিজনেস এ। যা করার তা তো বড়দাভাই আর অদ্রিত করে। তাই আমি যা করছি ঠিক করছি আমাকে করতে দাও। ওখানে রোমিত এসে বলে মা শিগগিরই চলো শুভ দী বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে সব কিছু নিয়ে। সমিত এবং অনোনায় এসে ছোট কাম্মাকে বলে শুভদী বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে প্লিজ চলো। কিন্তু মেজো মা ও গুরুত্ব দেয় না কোনো।
মেজ কাম্বা নিচে এসে শুভকে বলে শুভ কনগ্রাচুলেশন। ফাইনালি তুই একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিস। তোর আসলে এই বাড়িতে থাকাই উচিত হইনি । দাদুভাই বলে তুমি কি বলছো মেজো বউমা। কোথায় তোমরা ওকে আটকাবে তা না ওকে কনগ্র্যাচুলেট করছো।ও শুধু শুভলক্ষী নয় ও এ বাড়ির গৃহলক্ষীও । ও অদ্রিত এর স্ত্রী। তখন অদ্রিত বলে ঠিকই বলেছে দাদুভাই। এস এ হাসব্যান্ড কিছু রেসপন্সিবিলিটি তো থাকে। এটা আমাকে প্লিজ পালন করতে দাও। ওর বাবা বলে কি ব্যাপার আদি তুই কি বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছিস। আদি বলে তাছাড়া কি উপায় আছে বলবা বাবা। আদি মেজো কাম্মাকে বলে আসলে তুমি ঠিকই বলেছ ওর এ বাড়িতে আসা উচিত হয়নি। কিন্তু ভুলটা তো ওর না ভুলটা আমার তাই আমরা আমাদের ব্রকলিন ফ্লাট এ চলে যাচ্ছি। ওর বাবা বলে তুই এত বড় হয়ে গেলি কবে বাবা যাস না। আদি বলে আমি চলে যাচ্ছি বলে এই নয় যে আমি আমার দায়িত্ব ভুলে যাবো আমার দায়িত্ব আমি সবগুলো সঠিকভাবে পালন করবো বাবা।
দাদু ঠাম্মিকে প্রণাম করে বাসা থেকে চলে যাওয়ার জন্য। এদিকে আদির বাবা তাড়াহুড়ো করে সেবন্তির কাছে যায়। বলে শুভ বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আর ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন শুধু শুভ নয় তোমার ছেলেও চলে যাচ্ছে বাড়ি থেকে। আদির মা বলে না এটা হতে পারে না আমাকে না বলে কোথাও যেতে পারে না। শুধু তোমার জিদ এর জন্য আমরা আমার ছেলেটাকে হারাতে বসেছি। ছোটকামীমা বলে আদি ইটস নট ডান আদি। তুই তোর বউকে নিয়ে আলাদা থাকবি তোর ছোট ভাই বোনেরা তোর কাছ থেকে কি শেখবে। আদি তখন বলে আমিও তো ছোটবেলা থেকে তোমাদের দিকে কিছুই তো শিখতে পারলাম না। ওরা ওদের নিজেদের মতো করে শিখবে।যখনি আদি বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছিল তখন সেখানে বেঙ্গলি কমিউনিটির দুজন সদস্য আসে। বলে আমরা সেবন্টির কাছে এসেছি। শুনলাম অদ্রিত ইন্ডিয়াতে পালিয়ে গিয়ে কাজের লোকের মেয়েকে বিয়ে করে এনেছে। এ আবার হয় নাকি।
শুভ তখন বলে আমি পুরোহিতের মেয়ে। তখন ওনারা বলে ও তাহলে তুমি সেই গার্ল। তারপর ওরা শুভকে ছোট করে কথা বলছিল।অদ্রিত প্রতিবাদ করতে যাবে তখন দাদুভাই ওর হাত চেপে ধরে। বলে এদের কিছু বলে লাভ নেই দাদুভাই তুমি চুপ থাকো। দিকে মেজো কাম্মা এবং ছোট কাম্মা দৌড়ে গিয়ে সেবন্তি কে খবরটা দেয়। বলে দিদিভাই সর্বনাশ হয়ে গেছে তুমি শিঙ্গির চলো। তুমি নিচে গিয়ে সবকিছু সামলে না নিলে কাল থেকে আমাদের সোসাইটিতে মুখ দেখানো মুশকিল হয়ে যাবে। আমরা বলি কি তুমি শুভকে এখন দয়া করে মেনে নাও। তাহলে দেখব তোমার পায়ের নিচে পড়ে থাকবে তোমার উপরে উঠতে পারবে না। সেবন্তি সেখান থেকে দৌড়ে যায়। এদিকে নিচে অদ্রিত এবং শুভ চলে যাচ্ছিল তখন সেবন্তি এসে ডাক দেয়। অদ্রিত কে বলে তুমি তোমার রুমে যাও।
শুভ কিছু বলতে যাবে তখন সেবন্টি বলে। আমি তোমার শাশুড়ি আর তুমি আমার পুত্রবধু কাজেই আমি যেটা বলবো সেটা তোমার শুনতে হবে। এরপর সেবন্তি সোসায়টির দুজন লোককে বলে সরি আসলে আমি আপনাদেরকে খেয়াল করিনি।এসে যখন পড়েছেন আপনাদের ইনভাইট করে দি। পরশু আমার ছেলে এবং বৌমার রিসেপশোন। সবাই তো অনেক খুশি হয়ে যায় সেবন্টির এমন কথায়। এরপরের সিনে আমরা দেখি। অদ্রিত এবং শুভ রুমে গল্প করছিল। অদ্রিত বলে আর তো কোন সমস্যা নেই মা তো মেনে নিয়েছে। কিন্তু শুভ কিছুতেই জানি খুশি হতে পারছিল না। ও বলছিল বড়মা কি সত্যি আমাদের বিয়েটা মন থেকে মেনে নিয়েছে। অদ্রিত শুভকে বলে তুমি এ নিয়ে আর চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপর অদ্রিত শুভর কাছাকাছি আসে। শুভ আর অদ্রিত রোমান্টিক ভাবে একটু কাছাকাছি আসে তখনই সেখানে কাকু মনি দাদুভাই ঠাম্মি সৌমিত রোমিত ওরা সবাই আসে। শুভ অদ্রিত লজ্জা পেয়ে যাই। ঠাম্মি অদ্রিত কে বলে আর দুটো দিন একটু ধৈর্য ধরে থাকো দাদুভাই। এরপর তো তোমরা তোমাদের রুমে থাকতে পারবে একসাথে তখন সব হবে।