গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের ধামাকাাদার নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখি অদ্রিত শুভ এবং সবাই একসাথে বাসায় ফেরার সময় শুভ সমিত কে জিজ্ঞাসা করে শিরিন এলো না তোদের সাথে। সমিত তখন বলে ও মাই গড শিরিন বারবার বলেছিল বাড়ির কাছাকাছি আসলে যেন ওকে একটা ফোন করি আমি তো ভুলে গেছি। তারপর সমীত শিরিন কে কল করে। এদিকে বাসার সবাই একসাথে বসে ছিল। তখন সেখানে অদ্রিত এর মা আদি এবং জিনিয়ার ওয়েডিং কার্ড নিয়ে আসে। আর সবাইকে দেখতে বলে কেমন হয়েছে কার্ড। সবাই দেখে অনেক ভালো বলে, ঠাম্মির কাছে দিলে ঠাম্মি দেখে দিয়ে দেয় কিছু বলে না। তখন অদ্রিত এর মা বলে কি ব্যাপার মা আপনি কিছু বললেন না যে। ঠাম্মি বলে আমার বলা না বলা কি আসে যায়। তোমার ছেলের ওয়েডিং কার্ড তুমি বানিয়েছ তোমার পছন্দের তো সব হবে তাই না। তখন আদ্রিতের মা বলে এটা আপনি ঠিক বলেছেন। সব বিষয়ে আপনার মাথা না ঘামানোই ভালো। তখন সমীত এর কল আসে সিরিন এর কাছে। সিরিন তো ভয় পেয়ে যায়। ও সবার কাছ থেকে অন্যদিকে গিয়ে ফোনটা রিসিভ করে। শিরেনের এ ব্যবহারে ওরা অনেকটা অবাক হয়। কে ফোন করেছে জানতে চাইলে শিরিন বলে আমার একটা ফ্রেন্ড কল করেছে।
তখনই হঠাৎ করেই আদৃতের মা জানতে চাই সৌমিত রোমিত অয়োনা ওরা সব কোথায়। শিরিন তখন বলে অয়না ক্রিসমাসের ডেকরেট দেখবে বলে বায়না করে তাই রমিত এবং সমিত ওকে নিয়ে বেরিয়েছে। সিরিন ঠাম্মি কে ইশারা করে বোঝায় যে ওরা প্রায় চলে এসেছে। ঠাম্মি তখন আস্তে করে উঠে রুমে চলে যাই বরণডালা সাজানোর জন্য। অদ্রিত এর কাকিমা একটু সন্দেহ করে ওরা কেন সবাই এমন করছে মনে হচ্ছে সবাই কি যেন লুকাচ্ছে। তখনই কাকুমনি তার ওয়াইফ এর প্রশংসা করে ব্যাপার টা কে ভুলিয়ে দেই। এদিকে ঠাম্মি তার রুমে এসে বরণডালা সাজায় আর বলে বড় বৌমা যখন শুভকে দেখবে তখন কি যে হবে কে জানে। মা জগদ্ধাত্রী তুমি দেখো আমার নাত বৌ যেন প্রথমবার তার শ্বশুরবাড়িতে পূর্ণ মর্যাদা নিয়ে ঢুকতে পারে। তার যেন কোনো অপমান না হয়।
অন্যদিকে অদ্রিত এর মা তার রুমে এসে ওর বাবার সামনে বলে। কাল থেকে এ বাড়ীর বাচ্চাগুলার হাব ভাব আমার ভালো লাগছে না। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে ওরা আমাদের থেকে কিছু একটা লুকাচ্ছে।ওর বাবা বলে ওদের ও তো একটা পার্সোনাল লাইফ আছে। অদ্রিত এর মা বলে ওরা বড় হয়েছে তাই বলে কি ওদের উপর কন্ট্রোল ছেড়ে দেবো। ওদের কি ভালো-মন্দ বোঝার বয়স হয়েছে এখনো। তারপর আদৃতের মা বলে আমি আদ্রিতকে একটা কল করে দেখি ও কোন অব্দি এলো।কল দিয়ে বলে আদি কোথায় তুমি বস্টোন এর কাজ শেষ হয়েসে। আদি বলে ক্লোজ মা প্রায় চলে আসসি। ওর মা বলে তুমি আসো তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। আদি ও তখন বলে তোমার জন্য ও একটা সারপ্রাইস আছে মা।তারপর কল কেটে দেই।অদ্রিত মনে মনে বলে আমি জানি শুভ তুমি মায়ের ভয়েতে রাজি হচ্ছিলানা। আমি যেন কোন মতে তোমার সাথে কোন ইনজাস্টিস না হতে দেয়।
আদ্রিত শুভ কে নিয়ে বাসায় পৌঁছানোর পর গেটের ওই সাইট থেকে আদি শুভকে বলে মা হয়তো আজকে একটু রিঅ্যাক্ট করতে পারে। তুমি প্লিজ মাথাটা ঠান্ডা রেখো । তুমি প্লিজ কোন কথায় উত্তর দিও না। শুভ অদ্রিত কে ভরসা দেয় আমি আজকে কিছুই বলবো না একটা কথা ও বলবো না।এ দিকে বাসার ভেতর কাকুমনি আর সিরিন তো ভয় এ কাঁপসিলো। ঠাম্মি লুকিয়ে বরণ ডালা সাজিয়ে নিয়ে এসে তার পেছনে লুকিয়ে রাখে। ওদের সবাইকে খেতে আসতে বললে সবাই এড়িয়ে যায় কেউ আসতে রাজি হয় না বলে পরে খাবো। এসব দেখে আর অদ্রিত এর মা বলে কি হচ্ছে এসব বাড়িতে। আমি আদির বিয়ে নিয়ে একটু বিজি তাই বলে এই নয় যে সবকিছু আমার চোখ এরিয়ে যাচ্ছে।
তখনই হঠাৎ করে দরজায় কলিং বেল বেজে ওঠে। আদির মা বলে এটা তো আমি শিওর আদি এসেছে। বলে দরজা খুলতে যাবে তখন কাকুমনি এসে বলে বৌদি আমি থাকতে তুমি কেন দরজা খুলবা। বলে ও নিজে গিয়ে দরজা খুলে। দরজার সামনে আদি দাঁড়িয়ে সিলো। আদি কে দেখে সবাই অনেক খুশি হয়।আদির মা বলে ও মায় বয়। তু্ই তো জানিস আমি তোকে ছাড়া বেশি সময় থাকতে পারিনা। খুব শীঘ্রই এভাবে আমি তোকে আর তোর বউকে বরণ করে ঘরে তুলব। আদি তখন বলে তুমি সেটা আজই করতে পারবে। ওর মা বলে মানে কি তোর কি আর তর সইছে না নাকি। সে দিন তো আর বেশি দূরে নেই।আদি ওর মা কে বলে মা বৌ আমি আজকেই নিয়ে এসেছি। আদির কথা শুনে যেন সবাই থমকে হয়ে যায়।
আদি শুভর হাত ধরে তার পেছন থেকে সামনে নিয়ে আসে। আদির মেজো কাম্মা বলে এ তো শুভ। আদি বলে ইয়েস মেজো কাম্মা আমি শুভ কে বিয়ে করেছি। আদির মা তখন মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মত হয়। আদি আসতে গেলে ওর মা বলে একদম আসবে না তুমি। এই মেয়েকে নিয়ে তুমি এই বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি আসতে হয় তবে একলা আসতে পারবে। আমি এই মেয়েকে কখনো বউ হিসেবে মানবো না।আদির মা শুভ কে যা না তাই বলে অপমান করে। আদি তখন বলে মা তুমি ওকে এসব বলতে পারো না আমি ওকে বিয়ে করেছি শি ইজ মাই ওয়াইফ।আদির মা তখন গেট এর কাসে গিয়ে আদির হাত থেকে শুভর হাত সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আদি শক্ত করে শুভর হাত ধরে রাখে। সবাই অনেক ভয় পেয়ে যাই। সিরিন দাদু ভাই কে বলে তুমি কিছু একটা করো না হলে জেম্মা শুভ দি কে বাড়ি ঢুকতে দেবেনা। ঠাম্মি ও বলে তুমি কিছু একটা করো।
দাদুভাই তখন বলে দাঁড়াও বড়ো বউমা। আমরা দুজন এখনো বেঁচে আছি তুমি ভুলে জেয়োনা বাড়িটা এখনো তোমার শাশুড়ির নামে আছে। তাই এ বাড়িতে কে থাকবে আর কে থাকবে না সেটা আমরাই ডিসাইড করব। আর তা যদি না হয় তাহলে আমি আর রাধা এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাব। আর না হয় তোমরা বেরিয়ে যাবে। দাদুভাই এর এমন কথা শুনে আদির মা আদির হাত ছেড়ে দিয়ে চলে আসে। ঠাম্মি বরণডালা নিয়ে আদির মাকে দিয়ে বলে তো ছেলে বৌমাকে বরণ করে তোলো। আদির মা বলে সব তাহলে রেডি সিলো। ঠাম্মিকে বলে আপনি জিতে গেছেন মা। আপনি আমার ছেলেটাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন। বলে ওখান থেকে চলে যাই। দাদু তখন ঠাম্মি কে বলে তুমি বরণ করো রাধা রানী ছেলে মেয়ে দুটোর কতক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবে ঠান্ডার ভিতরে। তখন ঠাম্মি গিয়ে আদি এবং শুভকে বরণ করে ঘরে তোলে।