কথা সিরিয়াল এর নতুন পর্বের আপডেট
পার্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই মণ্ডবী অগ্নির ঘরের সামনে এসে নিজে নিজে বলতে থাকি এভির র সাথে যখন একা দেখা করার সুযোগ পেয়েছি এই সুযোগ হাতছাড়া করলে চলবে না। প্রথমে এভির কাছে ক্ষমা চেয়ে ওর মন জিতে নেব।তারপর যা হবার হবে। এ কথা ভেবে যখনই মান্ডবি অগ্নির ঘরের ভিতরে ঢুকতে যায় তখনি কারো পায়ের আওয়াজ পেয়েও লুকিয়ে পড়ে। তখন সেখানে কথা চলে আসে। এসে বলে তুই চুপি চুপি এলেও তোর সুগন্ধিটা তো আর লুকানো থাকবে না মান্ডবি। দিব্যি তো সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে চলে এলি। আর যাই হোক তুই কখনো অন্ধ হতে পারিস না। এসব বলে মণ্ডবী কে খুঁজতে থাকে কিন্তু পায় না। মণ্ডবী মনে মনে ভাবতে থাকে এই রে গোবর দেবী এখানে কি করে চলে এলো ওকে তো দেখলাম নার্সারি যেতে। ওর জোকের মত স্বভাবটা আর গেল না। কথা ভাবে সুগন্ধিটা তো এদিক থেকে আসছে কিন্তু মণ্ডবী গেল কোথায়। কথা অগ্নির ঘরে ঢুকে খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু কোথাও পায়না। অগ্নি ঘরে একা একা কাজ করছিল। কথা বলে নিশ্চয়ই ও কোথাও লুকিয়েছে। ওকে আমি ঠিক খুঁজে বের করবো। প্রমান সমেত ধরবো আর বুঝিয়ে দেবো সত্যিই ও অন্ধ নয়। কথা তার পেইন্টিং এর জিনিসগুলো নিয়ে বেডের উপর বসে পেইন্ট করতে থাকে। তারপর হঠাৎ করে বেট থেকে উঠে অগ্নিকে জড়িয়ে ধরে। অগ্নি সরাতে গেলে বলে এভাবেই থাকুন পাচক মশাই আমাদের কেউ দেখছে। তারপর বিছানা থেকে এ পেইন্টিংটা নিয়ে জানালার দিকে ছুড়ে মারে। মান্ডবী তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কথা অগ্নিকে বলে পাঁচক মশাই আমি এটা ছুড়ে মেরেছি কারণ আমি জানি মান্ডবী আমাদের দেখছিল লুকিয়ে লুকিয়ে। অগ্নি বিশ্বাস করতে চায় না তখন কথা বলে চলেন তাহলে মান্ডবীর রুমে যাই। কথা বাড়ির সবাইকে নিয়ে মান্ডবির রুমে আসে। এসে দেখে মান্ডবী দাঁড়িয়ে আছে। কথা বলে একটু আগে তুই পাঁচক মশায়ের রুমের বাইরে গিয়েছিলে কেন। মান্ডবী বলে আমি কি করে যাব আমি তো চোখেই দেখতে পায় না।
কথা বলে তুই মিথ্যা কথা বলিস না আমি জানি তুই অন্ধ না। আমি তোকে পাঁচক মশাই এর রুমের বাইরে দেখেছি। তখন বাড়ির সবাই বলে কথা তুমি কি প্রমাণ করতে পারবে মান্ডবী অগ্নি রুম এর বাইরে গিয়েছিল। তখন কথা বলে অবশ্যই পারব। কথা মান্ডবির হাত টেনে দেখে তার পেইন্টিং এর রং মান্ডবীর হাতে লেগে আছে। কথা সবাইকে বলে আমি ওকে ধরার জন্যই ইচ্ছা করে পেইন্টিংটা জানলার দিকে ছুড়ে মারি। এই দেখো সেই রঙ ওর হাতে লেগেছে। ও যদি ঘরের বাইরে নাই যাবে তাহলে ওর হাতের রং এলো কোত্থেকে। মান্ডবি তখন বলে আমি চোখে দেখতে পায় না একা একা চলাচল করতে যে কোথা থেকে লেগেছে আমি জানিনা। এটা তোমার পেইন্টিং এর রং নয়। তখন মেঝো মা বলে থাক আর কাউকে কোন প্রমাণ দিতে হবে না। একটা মেয়ে চোখে দেখতে পায় না আর সমানে সবাই তাকে প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। তখন মণ্ডবী বলে আমি এখানে থাকবো না আমি এক্ষুনি চলে যাব। অগ্নি বলে যা তুই এখনই চলে যা তোর এই বাড়িতে থাকার কোন দরকার নেই। তখন কথা অগ্নিকে বোঝায় যে না ওকে চোখের আড়াল করা যাবে না। তখন কথা মনে মনে ভাবে ওকে এভাবে ধরানো যাবে না ওকে অন্যভাবে ধরতে হবে।
কথা তখন বলে আমি হয়তো ভুল দেখেছি মণ্ডবী তুই আমাকে ক্ষমা করে দে । ও যেহেতু সত্যি চোখ এ দেখতে পাই না তাই আমি মান্ডবীকে চোখের ডাক্তার দেখাতে চাই। কিন্তু মান্ডবী মনে মনে ভাবে চোখের ডাক্তার দেখালে তো আমি ধরা পড়ে যাব। তাই ও বলে আমি ডক্টর দেখিয়েছি আমার চোখ কখনো ভালো হবে না আর দেখানোর দরকার নেই। কিন্তু কথা মান্ডবীকে বলে তুমি নিরাশ হয়ো না ঠিক ভালো হয়ে যাবে তোর চোখ। কাল আমি আর পাচক মশাই তোকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবো। এদিকে মান্ডবী চিন্তায় পড়ে যায়। এরপর রুমে এসে অগ্নি কথাকে বলে আমার কি আর কোন কাজ নেই সব সময় কি মেণ্ডিকে নিয়ে পড়ে থাকবো । কথা অগ্নিকে বোঝায় মান্ডবী যে অন্ধ নয় সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। সেটা প্রমাণ করার জন্যই ওকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবো।কথা আর অগ্নি ভাবতে থাকে মান্ডবীকে কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। অগ্নি তখন বলে এখানে একজন বি হালদার বলে ডাক্তার আছে তার কাছে নিয়ে যাবো। তাঁদের দুইজন এর কথা মেজোমা আড়াল থেকে সব শুনে ফেলে।
পরের দিন সকালে মণ্ডবী কে ডাক্তার বি হালদার এর কেবিন এ নিয়ে যাই সবাই মিলে। ওখানে যাবার পর মণ্ডবী ভাবতে থাকে এখন যদি আমার চোখ টেস্ট করানো হয় তাহলে তো ধরা পরে যাবো। তার থেকে ভালো আমি পালিয়ে যাই। মণ্ডবী পালানোর জন্য আসতে আসতে সরে যেতে থাকে কিন্তু তখন ই অ্যানি বলে মণ্ডবী তুই কোথায় যাস। মণ্ডবী বলে আমি জল খেতে যাই রে। অ্যানি বলে আমি তোকে জল এনে দিচ্ছি। অ্যানি জল আনতে গেলে মান্ডবী আবার পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু কথা তার হাত ধরে ফেলে। বলে কিরে তুই কোথায় যাচ্ছিস। অগ্নিকে ডেকে বলে দেখেছেন পাঠক মশাই ও আবার পালানোর চেষ্টা করছে। তখন সেখানে অ্যানি আসে বলে সব কিছুতে তোর একটু বেশি বাড়াবাড়ি। এখানে আমরা সবাই আছি ও পালিয়ে কোথায় যাবে।
একটু পরে ডক্টরের চেম্বার থেকে ডাক আসে। মান্ডবী কে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডক্টর জানতে চাই সমস্যা কি। সমস্যার কথা বললে ডক্টর বলে আপনার চোখের কিছু টেস্ট করতে হবে আপনি আমার সঙ্গে আসুন। বলে মান্ডবীকে টেস্ট করাতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে তারপর সবাইকে বলে মান্ডবীর চোখের রেটিনা ড্যামেজ হয়ে গেসে। ডক্টর বলে আপনার কি কোন দুর্ঘটনা হয়েছিল। মান্ডবী বলে হ্যা ডক্টর আমার একটা এক্সিডেন্ট হয়েছিল তারপর থেকে আমার চোখ দুটো চলে যায়। কথা অগ্নিকে বলে এটা কি বলছেন ডক্টর মানে মান্ডবী সত্যিই অন্ধ। কথা মনে মনে ভাবতে থাকে মান্ডবী যদি সত্যি অন্ধ হয় তাহলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে এসেছিল কি করে। তারপর ওরা সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসে। ওরা চেম্বার থেকে চলে আসার পর ডক্টর চিত্রা গুহ কে কল দেয় আর বলে ম্যাডাম আপনি যেমন বলেছিলেন তেমনি করেছি সব। চিত্রা গুহ বলে থ্যাংক ইউ ডক্টর বাবু আপনি যা যা চেয়েছেন সবই পেয়ে যাবেন। শুধু রিপোর্টগুলো তৈরি রাখবেন যেন পরে সমস্যা না হয়।