ধামাকা পর্ব আজকের আদি বেছে নিল তার বউকে


গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের আজকের নতুন পর্বের আপডেট 


পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই ঠাম্মি শুভ কে বলে আজ বড় বৌমাকে যেভাবে আটকালি তার জন্য আমি আরো একবার শিওর যে দাদু ভাইয়ের সাথে তোর কে বিয়েতে মত দিয়ে আমরা কোন ভুল করিনি। তুই রায় বাড়ির একেবারে উপযুক্ত বউ। আজকে তোকে একটা কথা বলব যে কথা আমি আজ পর্যন্ত কাউকে বলিনি। রায় বাড়ির এক বউ হিসেবে আরেক বউয়ের কাছে কথা আমি তোকে বলছি। যখন আমার বিয়ে হয় তখন আমি কিশোরী। কত ঝড় ঝাপটা কত আনন্দের মুহূর্ত কতগুলো বছর কেটে গেছে। কিন্তু একবারের জন্য মনে হয়নি যে এ বাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে যায়। তুই পারবি তো শুভ সবাইকে ভালবেসে এই বাড়িতে সারা জীবন আটকে থাকতে। শুভ ঠাম্মির মাথায় হাত রেখে কথা দেয়। বলে আজ থেকে এই পরিবার আমার আমি আমার শেষ নিঃশ্বাসের আগ পর্যন্ত এই বাড়িকে রক্ষা করব। এই বাড়ির সব মানুষগুলোকে একসাথে বেঁধে রাখবো ঠাম্মি।



রায় বাড়ির এক বউ হয়ে আরেক বউয়ের কাছে আমি কথা দিলাম ঠাম্মি। আমি আমার আমৃত্যু একথা রাখবো। এরপরের সিনে আমরা দেখি শুভ বাড়ির আউটডোরে দাঁড়িয়ে একা একা আপ ডাউন করছিল আর ভাবছিল। তার বড়মার কথা। তার সাথে যে সব ঘটনা ঘটে চলেছে সেগুলো তার মনে দাগ কেটে যাচ্ছিল। তখন সেখানে অদ্রিত এসে লুকিয়ে লুকিয়ে শুভকে দেখে। তারপর শুভর সামনে আসতেই শুভ ভাবে শুধু শুধু কাল অদ্রিত দার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি। শুভ অদ্রিত কে বলে সরি গো। অদ্রিত শুভ কে বলে তুমি প্লিজ এটা বলো না। আমি আসলে তোমার স্বামী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। তোমাকে অনেক কথা শুনিয়েছে সবাই এটা তুমি ডিজার্ভ করো না। আমার উচিত ছিল তোমাকে প্রটেক্ট করা কিন্তু সেটা আমি পারিনি আমি ব্যর্থ। ফার্স্ট টাইম তুমি এ বাড়িতে এসেছো আর তোমার এমন অপমান হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম আমার মাকে সামলে নেব কিন্তু পারিনি সামলাতে। শুভ অদ্রিত এর হাত ধরে বলে আমরা বিয়ের সময় অগ্নিসাক্ষী করে কি কথা দিয়েছিলাম। সব সময় সকল বিপদে একে অপরের সাথে থাকবো এবং একসাথে লড়বো এটা মনে হয় তারই প্রথম ধাপ।তারপর দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকে ব্যাকগ্রাউন্ড একটা সুন্দর মিউজিক বাজে।




আদ্রিতের এমন ভাবে তাকিয়ে থাকা থেকে শুভ বলে মনে হচ্ছে তুমি আমাকে প্রথমবার দেখছো।অদ্রিত একটু রোমান্টিকভাবেই বলে তোমাকে আমি যতবার দেখি ততবারই মনে হয় প্রথমবারই দেখছি। ভাগ্যিস ঠিক সময়ে ঠিক ডিসিশনটা নিয়েছি আমি। ভালোই হয়েছিল তুমি তখন ইন্ডিয়া চলে গেছিলে। না হলে তো আমার সারা জীবন দেবদাস হয়ে কাটাতে হতো। আমি সব সময় তোমার এই হাসি মুখটা দেখতে চাই। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই, জিনিয়া জিনিয়ার বাবা এবং মায়ের সাথে তার বিয়ে নিয়ে আলোচনা করছিল। জিনিয়া তার বাবাকে বলে, ড্যাড আমার বিয়েতে যেন একটা সিম্পল জিনিসও মিস না যায়। ওর বাবা বলে তুমি শুধু অদ্রিত কে দেখো আর বাকিটা আমি সামলে নেব। জিনিয়া বলে আমি কিন্তু বিয়ের পর ওদের ওই ইরিটেটিং ফ্যামিলির সাথে থাকবো না। আফটার মাই ম্যারেজ আমি একটা আলাদা ফ্লাটে শিফট হব। আর এটা কিন্তু তোমার নিজের দায়িত্ব নিয়ে করে দিতে হবে মম।তারা এসব নিয়ে আলোচনা করছিল জিনিয়ার মা সেবন্তী কে কল দেয় কিন্তু কল রিসিভ করছিল না। ভাবে কি হল সেবন্তী কল কেন রিসিভ করছে না।


তখনই হঠাৎ করে তাদের ল্যান্ডফোনে একটা কল আসে। জানিয়ার বাবা কলটা রিসিভ করে আর তারপরে বলে ওঠে হোয়াট এটা আপনি কি বলছেন। এদিক থেকে আদ্রিতের বাবা কথা বলতে গিয়ে কাঁচা মাসু করছিল ভালোভাবে বোঝাতে পারছিল না। তখন দাদুভাই ওর কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে নিজেই বলে। প্রোতিন  আমি  বাসুদেব রায় বলছিলাম তুমি ঠান্ডা মাথার ছেলে তুমি ব্যাপারটা বুঝবে। অদ্রিত বিয়ে করে ফেলেসে শুভলক্ষ্মীকে। তখন জিনিয়ার বাবার হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। জিনিয়ার মা জিজ্ঞাসা করে প্রতিন কি হয়েছে, তখন প্রতিন বলে অদ্রিত শুভকে বিয়ে করে ফেলেছে। জিনিয়ার বাবা এ কথা বলার পরে জীনিয়া বাসার সবকিছু ভাঙচুর শুরু করে দেয়। বলে তুমি আমার সাথে এটা করতে পারো না। আমি তোমাকে ভালোভাবে বাঁচতে দেব না। পতিন বলে এটা তো তোমার ফল্ট জিনিয়া । জিনিয়া তখন রেগে গিয়ে বলে জাস্ট শাট আপ।


এদিকে রয় বাড়িতে রমিত সমিত অয়না শিরিন সকলে মিলে ক্রিসমাস ট্রি তৈরি করছিল। তখনই সেখানে অদ্রিত এর মা আসে। আদ্রিতের বাবা বলে কি অবস্থা সেবন্তী তোমার মাথাব্যথা কি একটু কমেছে। সেবন্তি গিয়ে চেয়ারে বসে। তখনই অদ্রিত এবং শুভ নিচে নামে। ওদেরকে দেখে অদ্রিত এর মা উঠে চলে যেতে লাগে। তখন শুভ দৌড়ে আসে আর বলে বড়মা তুমি প্লিজ চলে যেও না আমাকে দেখে। দেখো আমি কোনভাবেই তোমার জায়গাটা নিতে আসিনি। মেজো কাম্মা তখন শুভকে বলে তোর এত বড় সাহস কি করে হলো তু্ই দিদিভাই কে এতগুলো কথা বলছিস। তুই দিদি ভাইয়ের জায়গা নিবি কিভাবে তুই কি কখনো দিদি ভাইয়ের মত হতে পারবি। তুই ভুলে যাস না তুই এই বাড়ির মাইনে করা পুরোহিতের মেয়ে।অদ্রিত এসে ওদেরকে কিছু বলতে যাবে তখন অদৃতের হাত চেপে ধরে শুভ। শুভ বলে আমি জানি গো আমি কোনদিনও বড়মার মত হয়ে উঠতে পারব না। তখন আদ্রিদের মাকে বলে বড়মা তুমি তো তুমিই। বড়মা তুমি এভাবে কষ্ট পাচ্ছে দেখে আমার অনেক খারাপ লাগছে গো। তার থেকে তোমার যদি আমাকে কোন শাস্তি দেওয়ার হয় তুমি দেও। আদ্রিতের মা তখন বলে তুমি আমার কেউ না আমি তোমাকে শাস্তি কেন দেবো। শুভ বলে তুমি স্বীকার করো আর না করো আমাদের মাঝে তো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। 


তুমি আমার শাশুড়ি আমি তোমার বড় ছেলের স্ত্রী। তুমি এটা চাইলেও অস্বীকার করতে পারবে বলো। অদ্রিত এর মা বলে আই ডোন্ট একসেপ্ট দিস। বলে সেখান থেকে চলে যায়। দাদু ভাই এসে শুভকে বলে তুই ওর এসব কথা কিছু মনে করিস না। তখনই সেখানে জিনিয়া  এবং জিনিয়ার মা আসে। জিনিয়া এসে অদৃতের সাথে চিল্লাচিল্লি শুরু করে। বলে তুমি এটা কিভাবে করলে অদ্রিত তুমি এটা করতে পারো না। অদ্রিত জিনিয়াকে বলে আমি কোন অন্যায় করিনি আর তারপর ও আমি যাওয়ার আগে তোমার এনগেজমেন্ট রিংটা খুলে দিয়ে গেছিলাম। তুমিও তো আমার মুখের উপরে রিংটা ছুড়ে মেরেছ। এখন কেন এসব বলছো। জিনিয়ার মা বলে এনগেজমেন্ট রিং খুলে ফেলা মানে এই নয় যে এনগেজ মেন্ট ভেঙ্গে গেছে । এত শেমলেস আপনারা। তখন দাদুভাই বলে শুনুন মিসেস মিত্রা জিনিয়া তখন জিনিয়া দাদুভাইকে বলে স্টপ ইউ আর ওল্ড ফুল। তখন অদ্রিত জিনিয়া কে বলে তোমার সাহস কি করে হলো আমার দাদুকে কথা বলার। আমার দাদু আমাদের পরিবারের হেড।জিনিয়া বলে আমি তো তোমার বাড়ির বউ হচ্ছি না তোমার বাড়িতে হেড কি না আমি তা দেখতে যাব কেন।অদৃতের বাবা তখন বলে ভালোই হয়েছে তুমি এ বাড়ির বউ হওনি। তুমি যদি বাড়ির বউ হতে তাহলে যে কি ডেঞ্জারাস হতে পারতো তা এখন আমি বুঝতে পারছি। শুভ তখন গ্লাসে পানি নিয়ে এসে বলে জিনিয়া নাও জল খাও মাথা ঠান্ডা করো। জিনিয়া শুভর হাত থেকে পানি নিয়ে শুভর মুখে মেরে দেয়।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!