গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালে আজকের নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই অদ্রিত সবার সামনে কথা দেই শুভর হাতের মসলা রয় এন্ড আমেরিকা বিদেশি এক্সপোর্ট করবে। এবং এই মসলার ফেস হবে আমার মাশালা কুইন। আদ্রিতের এমন কথায় গ্রামের সকলে অনেক খুশি হয়। শুভ মনে মনে ভাবে যে মানুষটা আমার ছোট বেলার খেলার সঙ্গী। আমার মন খারাপের বন্ধু। সে মানুষটা আজ আমার জীবন সঙ্গী। ঠাকুর আমার জন্য এত সুখ লিখে রেখেছিলে তুমি। এত বড় মনের মানুষকে তুমি আমার সাথে সারা জীবনের জন্য একসাথে বেঁধে দিলে। এর মর্যাদা আমি রাখতে পারবো তো। এদিকে অদ্রিত এর মা তার বিয়ে নিয়ে অনেক এক্সাইটেড। সেও সব ধরনের অ্যারেঞ্জমেন্ট শুরু করে দিয়েছে। ঠাম্মি এসব শুনে দাদু ভাইয়ের সাথে বলেন। অদ্রিত কাল শুভকে নিয়ে এখানে আসবে। এদিকে বড় বৌমা জিনিয়ার সাথে বিয়ের সব আয়োজন শুরু করেছে কি যে হবে। আমার না ভীষণ ভয় হচ্ছে গো। দাদু তখন বলে টেনশন তো আমারও হচ্ছে। কিন্তু অদ্রিত হচ্ছে বড় বৌমার প্রাণ। বড় বৌমা ওর কথা ফেলতে পারবে না।
অন্যদিকে নদীয়াতে শুভ এবং অদ্রিতের যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করছিল। পরেশ কাকা অদ্রিত কে বলে তোমার ছোট কাকা আমাকে ফোনে সবকিছু বলে দিয়েছিল না হলে তো আমি একা একা এগুলো কিছু করতে পারতাম না। অদ্রিত ও পরেশ কাকা কে বলে আপনারা সবাই ছিলেন বলেই শুভকে এত তাড়াতাড়ি রাজি করতে পেরেছি না হলে যে আমি একা একা কি যে করতাম। পরেশ কাকা তখন বলে কিন্তু শুভ মাকে দেখছি নাতো ও কোথায় গেল। তখন সেখানে শুভ আসে। শুভকে দেখে অদ্রিত তার দিকে এক পলকে তাকিয়ে থাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা সুন্দর মিউজিক বাজে। শুভ বলে তোমার কথাই আমি শাড়ি পরলাম না। কে কিভাবে নেবে কে জানে। তখন অদ্রিত বলে তোমাকে কেউ কিছু বললে তোমার হাজবেন্ডের দোষ দিয়ে দেবে। এতটা পথ ট্রাভেল করে যাবে শাড়ি পড়ে তুমি নিজেকে সামলাতে পারবে না। তারপর তারা গ্রাম থেকে রওনা দেয়।
এর পরের সিনে আমরা দেখি অদ্রিত এবং শুভ প্রাইভেট জেটে করে নিউইয়র্কে রওনা দিয়েছে। শুভ বসে বসে তাদের বিয়ের কথা এবং পুরনো স্মৃতি মনে করছিল তখন। সেখানে কেবিন ক্রু এসে তাদের নাস্তা দিয়ে যায়। অদ্রিত তার নিজের হাতে শুভকে খাইয়ে দেয়। শুভ ও অদ্রিত কে খাইয়ে দেয়। সুন্দর একটা রোমান্টিক গান বাজে ব্যাকগ্রাউন্ডে। খাবার শেষে কেবিন ক্রো তাদেরকে একটা কম্বল দিয়ে যায়। তখন শুভ বলে আমরা তো মানুষ দুজন কিন্তু আমাদের একটা কম্বল দিয়ে গেল কেন। অদ্রিত তখন ওইটা নিয়ে শুভর গায়ে দিয়ে দেয় আর বলে আমরা এখন হাসবেন্ড ওয়াইফ আমরা তো দুজন একটা শেয়ার করে নিতে পারি। শুভ অদ্রিত কে বলে তুমি যে এত রোমান্টিক তা তো আগে জানতাম না অদ্রিত দা। আদৃত তখন শুভকে বলে আচ্ছা তুমি এখনো আমাকে দাদা বলে ডাকছো যে। শুভ বলে কি করবো এত দিনের অভ্যেস। অদ্রিত শুভ কে বলে অভ্যেস চেঞ্জ করো তাড়াতাড়ি। এরপর তারা দুজন একটা কম্বল দুজনে শেয়ার করে ঘুমিয়ে পড়ে।
অন্যদিকে শমিত রা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শুভ এবং অদ্রিত কে রিসিভ করার জন্য। এতক্ষণে ওরা দুজন নিউইয়র্ক এ পৌঁছে গেছে। এয়ারপোর্টের বাইরে অদ্রিত শুভর হাত ধরে হাঁটছিল তখন শুভ বলে তুমি আমার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে কেন। অদ্রিত তখন রোমান্টিক ভাবে বলে বিউটিফুল ওয়াইফ যদি হাতছাড়া হয়ে যায়। এরপর অদ্রিত ফোনে কি করছিলো ফোনে তার কাজ শেষ করে এদিকে ঘুরে দেখে ওখানে আর শুভ নেই। তখন সেখানে সৌমত রা পৌসায়। ওরা বলে শুভদি কোথায়। অদ্রিত তোদেরকে বলে এখানেই তো ছিল এক্ষুনি ও কোথায় গেল। তখন ওরা সবাই মিলে এদিক ওদিক শুভ কে খুঁজতে থাকে। খুঁজতে খুঁজতে অদ্রিত দেখে শুভ একটা নিত্য দলের সাথে সাথে নাচ করছে। তখন সেখানে অদ্রিত আসে আর দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে থাকে। তখন শমিত রা খুঁজতে খুঁজতে ওখানে পৌঁছায়। আর ওদের বলে আমরা তোদের খুঁজছি র তোরা এখানে রোমান্টিক ভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রেম করছিস। তারপর ওরা শুভকে বৌদি ভাই বলে দৌড়ে শুভর কাছে যেয়ে জড়িয়ে ধরে।
ওরা শুভকে বলে ওয়েলকাম ব্যাক টু নিউইয়র্ক বৌদি ভাই। অদ্রিত তখন ওদের বলে আরে ওয়েলকাম কি প্রণাম কর তোদের বৌদি ভাই কে। শুভ বলে এই না একদম এগুলো করবি না। কিন্তু অদ্রিত বলাতে ওরা সবাই শুভকে প্রণাম করে। তারপর অদ্রিত ওদের কাছে জিজ্ঞাসা করে মা ঠিক আছে। এদিকে অদ্রিত এর মা জিনিয়া আর জেনিয়ার মা এক সাথে বসে বিয়ের কার্ড সিলেক্ট করছিলো। জিনিয়ার মা বলে সেবন্তী অদ্রিত যখন ওদের এনগেজমেন্ট টা ভেঙে দিয়েছিল আমি আসলে অনেক আপসেট হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি যেমন পুরো জিনিসটাকে হ্যান্ডেল করলে না রিয়েলি ইউ আর গ্রেট সেবন্টি। তখন অদ্রিত এর মা বলে আসলে রয় বাড়িতে আমার কথাই হল শেষ কথা। আমার শাশুড়ি মা যদিও একটু কেমন কেমন করে কিন্তু আমি তাকে মোটেও পাত্তা দেয় না। আর আমার এই দুইটা যা ওরা আমার ভীষণ প্রিয়।
জিনিয়া তখন বলে আন্টি বিয়ের পর আমি আর তুমি মিলে তোমার শাশুড়িকে হ্যান্ডেল করে নেব। জিনিয়ার মা তখন বলে আবার আন্টি কিরে মাম্মা বল। জিনিয়া বলে তাহলে কি বলবো।অদ্রিত এর মা বলে অফকোর্স। জিনিয়া তখন বলে আর অদ্রিত কে? তখন সেবন্তি বলে দেখো জিনিয়া অদ্রিত মাম্মাস বয় আমার ইচ্ছায় ওর ইচ্ছা। তবে হ্যাঁ আদির কাছে আগে আমি তারপর কিন্তু তুমি থাকবে হোপ ইউ ডোন্ট মাইন্ড। এদিকে অদ্রিত রা গাড়িতে করে বাসায় ফিরছিল। আর আদি বলছিল এই প্রথম মাকে না বলে আমি এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। তাও আবার কিনা বিয়ে। বাট ইউ নো শুভ, মা তোমাকে ফিরিয়ে দেবে না, আই এম কনফিডেন্ট। শুভ মনে মনে ভাবে এ নতুন দেশ এ নিউ ইয়র্ক শহর কি আমার হতে চলেছে। এখন থেকে এখানেই থাকতে হবে আমার। দেশ ছেড়ে এত দূরে আমি কিভাবে সারাটা জীবন কাটাবো। অদ্রিত তখন শুভ কে বলে এভরিথিং উইল বি ফাইন শুভ ডোন্ট ওয়ারি।