শুভকে বিয়ে করতে আদিত্য গ্রামের বাড়িতে চলে এলো

গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালে আজকের



গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালে আজকের এক্সক্লুসিভ পর্বের আপডেট,


পর্বের শুরুতে অদ্রিত বস্তন থেকে ফিরে ঠাম্মির কাছে জানতে চাই শুভ আমাকে কিছু না বলে কিভাবে চলে গেল। আমার জন্য কি কোন কিছু বলে যায়নি কোন মেসেজ দিয়ে যায়নি আমার জন্য। ঠাম্মি বলে অনেক অভিমান বুকে নিয়ে মেয়েটা এভাবে ফিরে গেল রে দাদুভাই। শমিত বলে দা ভাই আমরা কিছুই জানতাম না শুভ হঠাৎ করে সকালে বেরিয়ে গেছে। অদ্রিত অনেক হাইপার  হয়ে যায় এবং দৌড়ে শুভর ঘরে চলে যায় শুভ কোনো ক্লু রেখে গেছে কি সেটা জানার জন্য। শুভর ঘরে গিয়ে এদিক ওদিক খুঁজতে থাকে যদি কোন কিছু রেখে যায় ও। খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ তার নাকি একটা স্মেল আসে। অদ্রিত ভাবে এটা তো সে পারফিউম এর স্মেল যেটা আমি শুভকে দিয়েছিলাম। শুভ এটা ইউজ করেছে। তারমানে শুভ আমাকে ভালোবাসে। অদ্রিত বলে তুমি ধরা পড়ে গেছো শুভ তুমি আমাকে ভালোবাসো। তখন সেখানে সবাই চলে আসে। শমিত বলে বর্দা ভাই শুভ তো চলে গেল তুই তো ওকে আটকাতে পারলি না। সব শেষ হয়ে গেল দা ভাই। অদ্রিত তখন বলে কিছুই শেষ হয়নি। তোরা সবাইকে একটা স্মেল পাচ্ছিস। এই স্মেল  টাই বলে দিচ্ছে শুভ আমাকে ভালোবাসে। এটা শুভ ও বুঝতে পেরেছে। সেজন্য ও আমাকে ভালোবাসার ভয়ে এখান থেকে পালিয়েছে। কাকুমনি তখন বলে এই অদ্রিত ম্যান তুই কি শিওর। অদ্রিত বলে ইয়েস রূপস আমি সিওর। দাদুভাই তখন বলে কিন্তু শুভর ফ্লাইট  এতক্ষণে টেক অফ করে দিয়েছে। 


 আদৃত তখন বলে আমার এক কথায় শুভ যদি ইন্ডিয়া থেকে আমেরিকা আসতে পারে, তাহলে আমি কেন পারব না ইন্ডিয়া যেতে। আমি ইন্ডিয়া যাব, আমি গিয়ে শুভ কে নিয়ে আসবো। আমি গিয়ে নিয়ে আসবো আমার ভালোবাসাকে। তখন সবাই অনেক আনন্দ করতে থাকে।  ঠাম্মি তো ড্যান্স শুরু করে দেই। সবাই তো ঠাম্মিকে দেইকে অবাক হয়ে যাই। কাকুমনি তখন বলে শুভর ইন্ডিয়া যেতে তো ৩৬ ঘন্টা সময় লাগবে। ঠাম্মি বলে দাদুর ও তো একই সময় লাগবে আর ও বেশি লাগবে। অদ্রিত বলে না ঠাম্মি আমি শুভর আগে ইন্ডিয়া গিয়া পৌঁসাবো। আমি এখান থেকে বস্তন যাবো ওখানে আমার ফ্রেন্ড এর পারইভেট জেট আসে আমি ওটা তে করে ইন্ডিয়া যাবো।শুভ যাওয়ার আগেই আমি গিয়ে পৌছাবো। অদ্রিত মনে মনে বলে আমি আসছি শুভ।

গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালে আজকের


অন্য দিকে শুভ এয়ারপোর্ট এর ভেতর বসে অদ্রিত এর স্মৃতি মনে করে আর কান্না করে। তাঁদের এক সাথে কাটানো সময় গুলো আনন্দ গুলো মনে করে কষ্ট পাই। ব্যাকগ্রাউন্ড এ একটা স্যাড সং বাজে। এ দিকে অদ্রিত বাসা থেকে বার হবার জন্য সবকিসু নিয়ে বার হয়। ঠাম্মি তখন কেসু গয়নার বক্স এনে অদ্রিত কে দিয়ে বলে এটা রাখ আমি এগুলো রেখেসিলাম আমার বড়ো নাত বউকে বরণ করবো বলে। ঠাম্মি তখন বলে পাড়ার প্রত্যেকটা লোক যেন নেমন্তন্ন পায়। কেউ যেন বাদ না পরে আমরা তো থাকতে পারছি না। সিরিন বলে বড়দা ভাই তুই কি জেম্মাকে  বলে যাবি না। অদ্রিত একটু ভাবে তারপর বলে আর যাইহোক আমি মা কে মিথ্যা বলতে পারবোনা। তাই আমি মা কে না বলেই যাবো। অন্যদিকে নদীয়ায় খবর দিলে সেখানে লোকজন সবাই আনন্দ শুরু করে। এদিকে অদ্রিত সবাইকে বলে বাসা থেকে বের হচ্ছিল তখনই সেখানে জিনিয়া চলে আসে। অদ্রিত বলের জিনিয়া তুমি এখানে তুমি তো সবসময় বিজি থাকো আর আমারও এখন টাইম নেই বলে অদ্রিত চলে যেতে থাকে তখনই জুনিয়া  অদ্রিতকে ডেকে বলে আই এম সরি অদ্রিত। কাল আমার অমন ব্যাবহার করাটা একদমই উচিত হয়নি।


 অদ্রিত জিনিয়া বলে তোমার সরি বলার কোন প্রয়োজন নেই। তুমি আমার অনেক উপকারই করেছ। তুমি যদি পর এক মিথ্যা কথা না বলতে তোমার কীর্তিকলাপ গুলো  যদি না প্রকাশ করতে তাহলে আমি বুঝতেই পারতাম না যে আমি শুভকে ভালোবাসি। আর তার হাত থেকে এনগেজমেন্টের রিং খুলে জিনিয়াকে  দিয়ে বলে ইটস ওভার। জিনিয়া ও তখন অদ্রিত কে বলে তোমার সাহস কি করে হয় তুমি আমাকে রিফিউজ  করো তুমি আমার সাথে কি ব্রেকআপ করবা আমি তোমার সাথে ব্রেকআপ করছি বলে জিনিয়া ও তার হাত থেকে ইন্গেজমেন্ট এর আংটি খুলে ফেলে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। সবাই খুব আনন্দ করতে থাকে বলে আপদ এবার বিদায় হয়েছে। অন্যদিকে শুভ এয়ারপোর্টে বসে বসে কান্না করতে থাকে। তাদের সকল স্মৃতি মনে করে আর কান্না করে শুভ। এ দিকে অদ্রিত বার হবে তখন ই তার মা কাকিমা বাসায় চোলে আসে। অদ্রিত কে দেখে তো মা অবাক হয়ে। বলে তুমি এখানে কেন তোমার তো বস্তন এ থাকার কথা। তখন সে নিজেই বলে বুজতে পেরেছি কেউ তোমাকে বলে দিয়েছে খবরটাকে । আসলে শুভ নিজের ইসসাই চলে গেছে কিন্তু তুমি এখন কোথায়  যাচ্ছো। অদ্রিত তো ভয়ে কেসুই বলতে পারেনা।


তখন কাকামনি বুদ্ধি করে বলে বড়ো বৌদি অদ্রিত এর বস্তন এর মিটিং টা তো লেট হবে তাই অদ্রিত ভাই দের সাথে একটু হ্যাংআউট করতে যাচ্ছে। তখন অদ্রিত এর মা বলে কিন্তু এটা মাথায় রাখো সামনে কিন্তু তোমাদের বিয়ে। অদ্রিত বলে ঠিক আছে মা আমি জানি সামনে আমাদের বিয়ে।বলে অদ্রিত বাসা থেকে বার হয়ে যাই। কিন্তু অদ্রিত এর মা মনে মনে ভাবতে থাকে অদ্রিত এতো সহজএই শুভর যাওয়া টা মেনে নিলো। অন্য দিকে শুভর ফ্লাইট এর সময় হয়ে যাই শুভ ফ্লাইট এ উঠে যাই। এ দিকে শুভর বাবা রুমে একা একা টেনশন করছিল। তখন সেখানে দাদু ঠাম্মি আসে আর শুভর বাবা কে সব কিছু বোঝায় বলে। এত কিছু হয়ে গেল আর আমি কেসুই জানতে পারলাম না। ঠাম্মি বলে সবকিছু হঠাৎ করেই হয়ে গেছে। শুভর বাবা বলে কিন্তু বড় বৌমা। আপাতত কাউকে কিছু বলার দরকার নেই। আগে শুভ কাজটা হয়ে যাক তারপর সবাই জানবে। এদিকে আদ্রিত  যেতে থাকে আর বলে তোমাকে এভাবে তো যেতে দেব না শুভ। তোমাকে আমি আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। আমাদের ঘরের লক্ষী হয়ে গৃহপ্রবেশ হবে তোমার। 


গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালে আজকের

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!