দুই শালিক সিরিয়ালের ধামাকাদার নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই গৌরব রেগে রেগে বাড়িতে ঢুকে। ওর পেছনে আতর আস্তে আস্তে আসে। গৌরবের মা এসে জিজ্ঞাসা করে কিরে তোরা এত তাড়াতাড়ি চলে আসলি। গৌরব কোন কথায় উত্তর দেয় না।আতোর কে জিজ্ঞাসা করে গৌরবের মা। আতর দি তখন বলে গার্গী ওর ফ্রেন্ড এর বাসায় গেছে আর আখিকে আমরা পাইনি। তখন গৌরবের মা বলে আখি কে পাস নি মানে ওকে তোরা ওকে ফেলে রেখে চলে এসেছিস। আমি এক্ষুনি যাচ্ছি ওকে খুঁজে নিয়ে আসতে। তখন গৌরব বলে কোন দরকার নেই। তুমি কোথাও যাবে না মা। ওর মা বলে তুই বুঝতে পারছিস না গৌরব ওর যদি অন্য কিছু হয়ে যায়। গৌরব বলে ওর অন্য কিছুই হয়েছে মা। যে হারিয়ে যায় তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু যে হারিয়ে যেতে চায় তাকে তো ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় না।
অন্যদিকে বস্তিতে দেবা বাড়িতে ফিরে দেখে তার ঘরটা সুন্দর করে সাজিয়েছে তাদের ফুলশয্যার জন্য। দেবার সবকিছু সিড়ে একেবারে তছনছ করে ফেলে। তারপর নিচে বসে তার মায়ের ছবি দেখে নিজে নিজে কান্না করে। ওর মার ছবির দিকে তাকিয়ে বলে। কেমন ছেলে জন্ম দিয়েছে মা। দেখো তোমার ছেলে কত সুখে আছে। ভগবান মনে হয় খুব রাগ করে আমাকে তোমার গর্ভে দিয়েছিল। আমার কপালে হয়তো লিখে দিয়েছিল। তুই জীবনে কিছুই পাবিনা কারো ভালোবাসা পাবি না। তোকে প্রতিটা দিন কষ্ট নিয়ে বাঁচতে হবে। মা তুমি একটু ভগবানকে জিজ্ঞাসা করে দেখো না কেন আমার সাথে এমন করছে। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে মা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। দেবা তার মায়ের ছবি হাতে নিয়ে কান্না করতে থাকে।এদিকে গৌরব তার রুমে গিয়ে ঝিলিক এর কথা ভাবে আর একা একা মনে মনে কষ্ট পায়। তখন সেখানে ঝিলিক চলে আসে। এসে গৌরব কেবল আপনারা কেমন মানুষ আমাকে ফেলে রেখে চলে এসেছেন। গৌরব ঝিলিক কে বলে কেন তোমাকে দেবা দিয়ে যায়নি। ঝিলিক গৌরবের কথা শুনে অবাক হয়ে যায়। বলে দেবা দিয়ে যাবে মানে এর ভিতর দেবা আবার কোত্থেকে এলো। গৌরব বলে আমিও তো সেটাই বলছি আমাদের জামাই স্ত্রীর ভিতরে দিবা কি করে এলো।
গৌরব বলে কাপল গেম এ তোমার আর আমার নাম ছিল। কিন্তু তুমি কার পার্টনার হতে চেয়েছিলে আমার নাকি দেবার। ঝিলিক বলে আমি আপনার স্ত্রী। গৌরব তখন বলে আর দেবার। দেবা একটা বাইরের ছেলে যার জন্য ঝিলিক বলে আপনি বেঁচে আছেন। যে আপনাকে হাসপাতালে উঠিয়েছে। নিজের টাকাই চিকিৎসা করিয়েছে। আর আপনাকে রক্ত দিয়েছে। গৌরব বলে এ জন্যই কি ওর সাথে এতটা সময় কাটিয়ে এলে। ঝিলিক উত্তর দেই দেবার সাথে আমার দেখা হয়নি। তখন গৌরব সেই ফটো দেখায় আর বলে তাহলে এটা কি। ঝিলিক মনে মনে ভাবে কতটুকু দেখেছেন উনি। ওখানে তো আখিও ছিল আখিকে দেখেনি তো আবার। ঝিলিক বলে আর নিজের স্ত্রীকে খারাপ প্রমাণ করার জন্য আপনি ছবি তুলে রেখেছেন। তখন গৌরব বলে না আঁখি যে খারাপ তাকে প্রমাণ করতে হয় না সে একদিন নিজেই ধরা দেয়। যেমন তুমি আজকে ধরা দিয়েছ। আর আমি ছবিটা তুলেছি জানো তুমি বরাবরের মতো অস্বীকার করতে না পারো। আর আমার চোখে তুমি অনেক নিচে নেমে গেছো। তোমাকে স্ত্রী বলে ভাবতে আমার ঘেন্না করছে।
অন্যদিকে আখি রুমে ঢুকে দেখে দেবা সবকিছু নষ্ট করে ফেলে নিচে বসে বসে কান্না করছে। আঁখি দেবা কে বলে আমার তোমাকে আর কিছু বলার নেই। শুধু একটা কথাই বলবো। আমার নিজের বলতে তুমি ছাড়া আর কেউ নেই দেবা। আমাকে ভালবাসতে হবে না। আমাকে একটু থাকতে দেবে দেবা। আমার যে আর কোথাও যাবার নেই। দেবা তখন বলে তুমি কে আমি জানিনা। আর আমার জীবনে কেন এসেছো সেটাও জানিনা। কিন্তু তুমি থাকবে আমার জীবনে। আরেকটা যন্ত্রণা হয়ে। এদিকে আখি এবং দেবা দুজনে কান্না করছে। ওদিকে ঝিলিক এবং গৌরব ওরা দুজনও কান্না করছে। একটা স্যাড সং বাজে ব্যাকগ্রাউন্ডে। আখি এলোমেলো রুমটাকে গুছিয়ে যখনই দেবা কে ডাকতে যাবে। তখন দরজায় কে যেন ঠক ঠক করে। আঁখি দরজা খুলতে দেখে পুলিশ এসেছে। পুলিশ এসে দেবা কে ধরে নিয়ে চলে যেতে লাগে। আঁখি কিছুতেই নিয়ে যেতে দিতে রাজি হচ্ছিল না। ওর অপরাধ কি জানতে চাইলে পুলিশ বলে। ও পি আর কের ছেলে গৌরব কে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল।আঁখি বলেন না আমার স্বামী তো তাকে বাঁচিয়েছে ওকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তখন পুলিশ বলে আপনার স্বামী ওনার এক্সিডেন্টটা নিজে করিয়েছে। এবং ভালো সাজার জন্য আবার হাসপাতালে ভর্তি করেছে।