গৃহপ্রবেশ ধামাকাদার পর্বের আপডেট 28 ডিসেম্বর



গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের আজকের ধামাকাদার এক্সাইটিং পর্বের আপডেট,

 

পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই অদ্রিত এবং শুভ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার পর মেজ জেম্মা এবং ছোট জেম্মার কাছে প্রণাম করতে গেলে ওরা শুভকে প্রণাম করতে দেয় না। মেজো জেম্মা বলে বাবা কি এমন বউ বাড়িতে এলো যে বউ ঘরে ঢোকার সাথে সাথে শাশুড়ি দরজা বন্ধ করে দিল। তারপর তারা সেখান থেকে বাবা আর কাকু মনিদের কাছে যায় প্রণাম করার জন্য। সবাইকে প্রণাম শেষে শুভর তার বাবার কাছে যায়। বলে বাবা তুমি কি ভয় পাচ্ছো। শুভর বাবা বলে না রে মা, আমি ভয় পাচ্ছি না আমার আরো আনন্দ হচ্ছে তোকে দেখে আমার সাহস হচ্ছে। ওরা হয়তো আজ বুঝতে পারছে না কিন্তু একদিন ঠিকই বুঝবে। তুই যে এই বাড়ির লক্ষ্মী। তারপর ঠাম্মি সিরিন কে বলে মেয়েটা এত পথ জার্নি করে এলো ওকে এখন তোদের ঘরে নিয়ে যা একটু ফ্রেশ হয়ে নেক । আজ আর দাদু ভাইয়ের ঘরে ওর যাওয়ার দরকার নেই।


অদ্রিত এবং শুভর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া নিয়ে শিরিন সৌমিত রোমিত অয়োনা সবাই আনন্দ করছিল। কিন্তু শুভ কিছুতেই আনন্দ করতে পারছিল না তার মনের ভিতর একটা খারাপ লাগা কাজ করছিল। তখন ওখানে অদ্রিত আসে তারপর শুভকে বলে তুমি টেনশন করো না সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। শুভ বলে আমরা বোধহয় কাজটা ঠিক করিনি। খুব কষ্ট পেয়েছেন বড় মা। বড় মাকে না জানিয়ে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আদ্রিত বলে মাকে বলে গেলে কি মাঝে কখনো যেতে দিত। শুভ তখন বলে না হয় এক না হতাম আমরা। কিন্তু আমি যেদিন বাড়িতে প্রবেশ করলাম সেদিনই বড় মার চোখ দিয়ে পানি পড়ল। এটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আদৃত তখন বলে সব দোষ আমার সব কিছুর জন্য আমি দায়ী। শুভ অদ্রিত এর কাছে এসে বলে না তুমি সব কিছুর জন্য নিজেকে দায়ি করো না। তখন  অদ্রিত শুভকে জড়িয়ে ধরে। শুভ অবাক হয়ে আদ্রিতের দিকে তাকিয়ে থাকে।



তখনই সেখানে সিরিন এসে বলে বড়মা বাসা থেকে চলে যাচ্ছে শিগগিরই চল দাদা ভাই । আদ্রিতের মা লাগেজ গুচিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। বাসার সবাই তাকে আটকানোর অনেক চেষ্টা করছিল কিন্তু সে কারো কথাই মানতে রাজি নয়। সেখানে অদ্রিত এসে তার মাকে আটকাতে যায় কিন্তু সেবনতি কারো কথাই শুনবে না। আদ্রিতের মা বলে আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি আমার ভাই ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকে আমি তাদের কাছে চলে যাচ্ছি। অদ্রিত এর দিকে তাকিয়ে বলে আমার ডিসিশন এর মানে কারো কাছে নাই থাকতে পারে। কিন্তু আমি তো আমার ডিসিশন স্ট্রিট থাকতে পারি। দাদুভাই বলে বড় বৌমা তুমি তো এ বাড়ির বড় বউ তুমি তোমার বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবা। তখন আদৃতের মা বলে ও রিয়েলি বাবা আপনি আর মা তো খুব পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন এই বাড়িতে আমার জায়গা কোথায়। আর দেখিয়ে দিয়েছে আমার নিজের ছেলে একমাত্র ছেলে।


আদৃত তার মার কাছে এসে বলে মা দাঁড়াও তুমি এটা কি করছ। তখন ওর মা বলে কি করছি মানে তুমি যা করেছ তারপর আমার এই ছাড়া আর কি করার আছে। আমি তো সুইসাইডও পড়তে গেছিলাম শুধু এ বাড়ির প্রেস্টিজের কথা ভেবে তাও করতে পারিনি।অদ্রিত বলে মা তুমি এটা কি বলসো আমি ভাবতাম আমার মা আমাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসে। অদ্রিত এর মাও তখন বলে আমিও তো একই কথা ভাবতাম আমার ছেলে আমার অনুমতি ছাড়া কোন একটা কাজ করতে পারে না। কিন্তু তুমি সেটা করলে। তুমি কিভাবে এটা করতে পারলে আদি ।এ কথা বলে অদ্রিত এর মা যখনই চলে যাচ্ছিল তখন শুভ ছোট কাকু মণিকে ডাক দিয়ে বলে একটা উপায় আছে আটকানোর তারপর তার কানে কানে কি যেন বলে দেয়। এরপর কাকু মনি অদ্রিত এর মাকে ডেকে বলে বড় বৌদি তুমি তো বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছ। কিন্তু তোমার ভাইয়ের বাড়িতে তো তোমার একটা সম্মান আছে।



 তুমি সেখানে গিয়ে কি বলবে । মানছি ছেলেমেয়ের একটা অন্যায় করেসে । তাই বলে তুমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। এটা তোমার বাড়ি তুমি এখানে থেকে লড়াই করবে। তখন অদ্রিত এর মা দাঁড়িয়ে যায়। আর ভাবে রূপঙ্কর তো ঠিকই বলেছে। আই এম নট লুজার।অদ্রিত এর বাবা তখন তার মাকে বলে তোমার এখানে অনেক বড় একটা বেঙ্গলি কমিউনিটি আছে তুমি চলে গেলে সবাই কি বলবে। ওর মা তখন বলে এক্সাক্টলি পুলক পুরো বাঙালি কমিউনিটির কাছে আমি তো হাসির খোরাক হয়ে গেলাম। আর জিনিয়ার বাবা মার কাছে আমার নাক কাটা গেল। এ কথা বলে উনি ঘরে চলে যায়। সবাই যে যার রুমে চলে যায়। শুভ রুমে এসে বসে বসে ভাবতে থাকে যে আমি তো এটা ঠিক করিনি। অদ্রিত কাছে আসলে বলে। আমি এটা একদমই ঠিক করিনি আমি চালাকি করেছি। আমি সবার কথা না ভেবে শুধু নিজের কথা ভেবেছি। আমি তো কখনো এটা করতে চাইনি আমি চাইনা যে আমার জন্য কেউ কষ্ট পাক।


এ দিকে আদ্রিতের দাদুভাই  বাবা এবং কাকারা সবাই একসাথে বসে আলোচনা করে। ওরা বলে এত সহজে বৌদি শুভকে মেনে নেবে না। কিন্তু অন্যদিকে জিনিয়ার পরিবারকে জানানো আমাদের একটা দায়িত্বের ভিতর পড়ে। তখন দাদুভাই আদির বাবাকে বলে তুমি যেহেতু ছেলের বাবা এটা তুমি বলো। ওর বাবা বলে এখন তো অনেক রাত হয়েছে কাল সকালে বলবো। অন্যদিকে আদ্রিতের মা এবং কাকিমারা আলোচনা করে কিভাবে কি করা যাই। অদ্রিত এর মা বলে অদ্রিত বাচ্চা মানুষ একটা ভুল করে ফেলেছে কিন্তু আমি সেটা সংশোধন করব। কখনো শুভকে আমার ছেলের বউ হিসেবে মেনে নিতে পারবো না। ওর বাবাকে তো টিকিট কেটে দেশে পাঠাবো সাথে মেয়ে কেউ এমন ভাবে পাঠাবো যেন ওরা আর কখনো ইন্ডিয়ার বাইরে যেতে না পারে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!