গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের আজকের ধামাকা নতুন পর্বের আপডেট,
পর্বের শুরুতে শুভ রান্না ঘরে ঠাম্মির জন্য পায়েস তৈরি করছিল। তখন সেখানে অদ্রিত আসে আর শুভ কে বলে আমি তোমার সাথে রাতে দেখা করতে চাই। বাসার সামনে যে ক্যাফে টা আছে ওখানে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো। শুভ যেতে রাজি ছিল না।অদ্রিত তখন বলে আমি কি তোমার থেকে এটুকু আশা করতে পারি না।আমার তো এতোটুকু অধিকার তোমার ওপরে আছে শুভ। একথা বলে অদ্রিত ওখান থেকে চলে যায়। এরপরে আমরা দেখি রাতে শুভর জন্য আদৃত অপেক্ষা করছিল ক্যাফেতে। তখন সেখানে শুভ আসে আর বলে তুমি আমাকে এত রাতে এখানে ডেকে ঠিক করো নি। তখন অদ্রিত বলে আমি জানি শুভ তোমার মনেও আমার জন্য ফিলিংস আছে।কিন্তু তুমি সেটা কি ইচ্ছা করে ডিনাই করে যাচ্ছ। তুমি কেন নিজের ফিলিংস কে রেজিস্ট করছো।তখন দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা মিউজিক বাজে। তখন তুষার পরসিলো। আর সেখান দিয়ে একজন ফুল নিয়ে যাচ্ছিল। আদ্রিত সেখান থেকে একটা ফুল নিয়ে হাঁটু গেরে রোমান্টিকভাবে শুভকে প্রপোজ করে। আদ্রিত বলে আমার মনে আর কোন কনফিউশন নেই শুভ আই লাভ ইউ। আমি তোমাকে আমার লাইফ পার্টনার হিসেবে চাই। উইল ইউ ম্যারি মি। শুভ আদ্রিতের হাত থেকে ফুলটা নেই। কিন্তু তখন অদ্রিত এর মা এর বলা কথা মনে পড়েযায়। তারপর আবার মনে মনে ভাবতে থাকে না আমাকে দুর্বল হলে চলবে না আমাকে শক্ত হতেই হবে। ভেবে ফুলটা ফেলে দেই অদৃত কে বলে তোমাকে নিয়ে আমার মনের ভিতর এমন কোন ফিলিংস নেই। আমি তোমাকে ভালবাসি না। অদৃত বলে তুমি আমাকে ফেরিয়ে দেবে। শুভ বলে কেন একজন পুরোহিতের মেয়ে কি তার অন্নদাতা কে ফিরিয়ে দিতে পারে না। তার কি সেই অধিকার নেই।অদৃত এর সাথে এমন ব্যবহার করে শুভ মনে মনে কষ্ট পাই। মনে মনে বলে আমাকে ক্ষমা করো আদ্রিতদা আমি এমন ব্যবহার না করলে তুমি কিছুতে মানতে না।
অদ্রিত শুভ কে বলে ঠিক আছে তুমি সময় নাও আমি দু দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি। কারো না থাকাতে বোঝা যায় তার লাইফে তার ইম্পর্ট্যান্ট টা কতখানি। শুভকে বলে ছোটবেলা থেকেই আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি কিন্তু আমরা নিজেরাই সেটা বুঝতে পারিনি। আমি তোমাকে বলছি আমাদেরকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। বলে আদি সেখান থেকে চলে যায়। শুভ কান্না করতে করতে নিচে বসে পড়ে। মনে মনে বলে আমায় ক্ষমা করো আদ্রিতদা এ যে কিছুতেই হয় না। তুমি আসার আগেই আমি চলে যাব চিরদিনের জন্য তোমাকে ছেড়ে।এরপর আমরা দেখি পরদিন সকালবেলা শুভ চলে যাবার আগে আদ্রিতের দেওয়া সেই পারফিউম টা ইউজ করে আর বলে তোমার কথা ফেলার মত সাদ্ধ আমার কোনদিনও ছিল না এজন্যই তো তোমাকে না বলে চলে যাচ্ছি। একটু পর শুভ চলে যাবার জন্য বের হয়। অদ্রিত এর মা তখন বলে শুভ যেতেই যখন হবে তখন দেরি করে লাভ নেই আর একটু দেরি হলে তোর ফ্লাইট মিস হয়ে যেতে পারে দাঁড়া আমি তোকে ক্যাপবুক করে দিচ্ছি। শুভ বলে তার কোন দরকার নেই বড় মা আমি নিজের করে নিয়েসি।
তখন ঠাম্মা সেখানে এসে বলে তুই আমাকে না বলে চলে যাচ্ছিস শুভ। তখন শুভ ঠাম্মি কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে। ঠাম্মি শুভর কানে কানে বলে তোর মন কি এতই শক্ত তুই কি আমার দাদুভাইকে একটুও ভালোবাসিস নি। ঠিক আছে তুই সময় নে কিন্তু বেশি সময় নিস না যাতে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। এরপর শুভ ঠাম্মিকে প্রণাম করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। একা একা যেতে যেতে তার আর আদ্রিতের কাটানো স্মৃতিগুলো ভাবতে থাকে। আর মনে মনে বলে আমাকে ক্ষমা করো অদৃত দা। তোমাকে বলে যেতে পারলাম না। তোমাকে বলে গেলে তুমি কখনোই আমাকে যেতে দিতে না। তোমাকে হ্যাঁ বলার ক্ষমতা তো আমার নেই। আর না বলব সেই সাধ্য নেই। তাই তোমাকে না বলেই চলে যেতে হচ্ছে। আমার সাগর পাড়ের গল্পটা বোধহয় এই পর্যন্তই ছিল। এর পরের সিন আমরা দেখি দাদু আর ঠাম্মি ঘরে বসে আলোচনা করে। দাদু বলে যা হলো একদমই ঠিক হলো না রাধারানী।ঠাম্মি বলে বড় বৌমা যুক্তি করে দাদুভাইকে পাঠিয়ে দিল। দাদুভাইকে জানানোর সুযোগ ও পেলাম না। আমি শুভর চোখের জল দেখে বুঝতে পেরেছি শুভ আমার দাদুভাই কে অনেক ভালোবাসে। দুজনকে আলাদা করে দেয়াটা একদমই ঠিক হলো না। আমি কিছুতে এটা মানতে পারছি না। দাদু তখন বলে আমাদেরই কিছু একটা করতে হবে। অদ্রিত আর শুভ কে মেলাতেই হবে।
অন্যদিকে আদ্রিত বসে বসে আনমনে শুভর কথা ভাবতে থাকে। আর চোখ দিয়ে পানি পড়ে। এদিকে সৌমিত অদ্রিত কে কল দেয় শুভ বাসা থেকে চলে গেছে সেটা জানানোর জন্য। কিন্তু অদ্রিত ফোন তুলছিল না। তখন পাশে থেকে একজন অদ্রিত কে ডেকে বলে আই থিঙ্কস সামওয়ান কলিং ইউ। অদ্রিত তখন ফোন রিসিভ করে জানতে পারে শুভ ইন্ডিয়া চোলে যাচ্ছে। তখন অদ্রিত বলে আমার এখনই বাসায় যেতে হবে। অন্য দিক এ অদ্রিত এর মা কাকিমা ওরা তো অনেক খুশি শুভ চলে যাওয়া তে।এদিকে শুভ এয়ারপোর্টে যায় আর সব কথা মনে করে কান্না করতে থাকে।তখন দেশ থেকে কল আসে শুভ হটাৎ কেন দেশ এ ফিরে যাচ্ছে জানতে চাইলে শুভ বলে কেন আমি ফিরে আসছি তাতে কি তোমরা খুশি নও। কাকিমা বলে খুব খুশি ঘর এর মেয়ে ঘর এ ফিরে আই। শুভ বলে আমি দেশ এ এসে আমাদের সমিতি অনেক বড়ো করবো। বলে ফোন কেটে দেই। আর অদ্রিত এর কথা মনে করে কান্না করতে থাকে।