Jhilik steals wedding written update 21 November

 

Jhilik steals wedding written update 21 November


দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের ধামাকাদার পর্বের আপডেট ,


 আজকের পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই, ঝিলিক মা কপালভাঁটির সাজে আখির রুমে এসে আখিকে বুঝাচ্ছিল আর বলছিল  তুমি এই বিয়েটা করোনা।এখান থেকে পালিয়ে যাও। এই বিয়েটা করলে তোমার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। তুমি এখান থেকে পালিয়ে যাও আমি সবটা ঠিক করে নেব। আঁখি বলছিল ঝিলিক তুমি এখান থেকে চলে যাও আমার যাই হয়ে যাক আমার তো দেখার মত কেউ নেই কিন্তু তোমার তো বাবা আছে মা আছে। ঝিলিক বলছিল তোর জন্য আমি আছি। আমি কেন জানি না বারবার তোর কাছে ছুটে আসি। তুই কাঁদলে কেন আমার চোখ থেকে পানি পড়ে আমি জানিনা। কিন্তু আমি জানি এক শালিক  খারাপ থাকলে আরেক শালিক কিছুতেই ভালো থাকতে পারে না। আখি বলে আমি জানি যে তুমি আমার অনেক সাহায্য করেছ। আমার জীবনের না পাওয়া জিনিসগুলো তুমি আমায় দিয়েছো। কিন্তু এবার তুমি আমাকে একা ছেড়ে দাও। আমি যদি এখান থেকে চলে যায় তাহলে তুমি ধরা পড়ে যাবে ঝিলিক। আর আমি আমার জীবনের অভিশাপ টা তোমার উপরে দিতে চায় না। এ কথা বলে আখি  যখনই রুম থেকে চলে যাবে তখনই ঝিলিক পিছন থেকে ডাক দেয় আর বলে শোন আঁখি যখনই ঝিলিকের দিকে তাকাই তখন ঝিলিক আঁখিকে পা দিয়ে ফেলে দেয় আর  আঁখি  জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ঝিলিক তখন ওকে বলে তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস তোর ভালোর জন্য আমার এটা করতেই হল।


 ঝিলিক তখন ফোন নিয়ে ভুলো দা কে কল দেয় আর বলে তুমি এখনই একটা গাড়ি নিয়ে  ছাতা বাড়িতে আসবে। আর এসে আমাকে ফোন দেবে ভুলে যেও না কিন্তু আবার। ঝিলিক আখিকে বলে এবার তুই হবি মা কপাল ভাটি আর আমি হব বিয়ের কনে বলে ঝিলিক আঁখিকে কপাল ভাটি রূপে সাজিয়ে দেয় আর নিজে বউয়ের কোনে রূপে সেজে ন্যায়। অন্যদিকে দেখতে পাই কালিপদ একবার বিয়ের মন্ডপে আসছে আর একবার বাথরুমে যাচ্ছে। কালিপদর এমন কান্ড দেখে সবাই অনেক হাসাহাসি করছে।




 অন্যদিকে ভোলা দা  একটা ভ্যান নিয়ে বাড়ির পিছনে এসে দাঁড়াই। ঝিলিক আর ভোলা দা দুইজনে মিলে আখিকে ভ্যানের উপরে শুইয়ে দেয়। ঝিলিক ভুলো  দাকে বলেন দাদা তোমাকে তো আমি গাড়ি নিয়ে আসতে বলেছিলাম তুমি ভ্যানগাড়ি কেন নিয়ে এসেছো। ভুলো  ঝিলিককে বলে আমাদের এদিকেই তো এগুলো কেই  গাড়ি বলে কেন তুমি জানো না। ইনি কে ভুলো দা জানতে চাইলে ঝিলিক  বলে তুমি এ কথা মুখেও এনো না উনি হচ্ছে সন্ন্যাসিনী উনি হচ্ছে মা কপাল ভাটি। এখন ধ্যান করছে ওনার ধ্যান ভাঙ্গাবে না। ওনাকে নিয়ে গিয়ে তুমি জুডো সেন্টারে শুয়ে দেবে। এবার ভুলুদা ঝিলিকের দিকে তাকিয়ে বলে তুমি এমন বউ এর সাজে সেজে আছো কেন। ঝিলিক বলে আমি এখানে একটা পূজো মন্ডপে নাটকে  অভিনয় করছি তাই বউয়ের সাজে সেজেছি। ঝিলিক বলে তুমি দুটো কথা মনে রাখবে প্রথমটা হল ওনাকে নিয়ে গিয়ে জুডো সেন্টারে শুয়ে দেবে আর দ্বিতীয়  তুমি সব ভুলে যাবে এবার নিয়ে যাও। ভুলো বলে প্রথমটা হলো ওনাকে নিয়ে গিয়ে শুয়ে দেবো দ্বিতীয় টা সব ভুলে যাব বলে চলে যায়।



 এই দিকে ঝিলিক আখিকে দিয়ে আসার সময় গৌরবের সাথে দেখা হয় দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকে পাশে একটা রোমান্টিক গান বাজতে থাকে। ঝিলিক মনে মনে ভাবতে থাকে এখানেই তো শুভদৃষ্টি টা হয়ে গেল বিয়েটাও যদি এখনই হয়ে যেত। তখনই গৌরব ঝিলিক কে  বলে বিয়েটা তাহলে তুমি ফাইনালি করছই। ঝিলিক একটু কাচুমাচু হয়ে বলে না এখনো কিছু ভাবেনি। গৌরব তখনই বলে আজকে সকালে তোমার হলুদের জন্য দৌড়াদৌড়ি করেছো  সারা বাড়ি, আবার এখন কনে সেজে তুমি ডিসপ্লে করছ তোমার বিয়ে আবার বলছো কিছু ভাবেনি। ঝিলিক  সাথে সাথে উত্তর দেয় আপনি বলুন না আমি কি করবো। গৌরব বলে আমি কেন বলতে যাবো। তখনই ঝিলিক  উত্তর দেয়  বা রে আপনি তো আমার সব। এ কথা বলে ঝিলিক একটু কাচুমাচু হয়ে আবার বলে না মানে আমার একার না বাড়ির সবার। সবাই তো আপনাকে খুব মানে তাই আপনি বললেই বিয়েটা ক্যানসেল করে দেব। কিন্তু তার পরেরটা আপনাকে সামলে নিতে হবে। গৌরব প্রশ্ন করে সামলাতে হবে মানে। ঝিলিক মজা করে বলে বিয়ের কোনেকে যে একা থাকতে নেই একজন চলে গেলে আরেকজন আসতে হয়। গৌরব তখন বলে ও আচ্ছা বিয়ে করার খুব শখ না তোমার। আমি জানতাম তুমি স্বার্থপর কিন্তু এতটা স্বার্থপর তা আমি জানতাম না। ঝিলিক উত্তর দেয় আরে বাবা স্বার্থপর কেন হতে যাবো বিয়ে তো সব মেয়েরাই করে। ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় মেয়েদের দুটো বাড়ি একটা বাবার বাড়ি আর একটা শ্বশুর বাড়ি। গৌরব  বলে তুমি কালীপদকে কেন বিয়ে করছো। আর কোনো ছেলে পাওনি ও অনেক খারাপ। ওর কোন স্ট্যান্ডার্ড নাই, সব দোকান থেকে ধার দেনা করে, খিদে পেলে মন্দির এ গিয়ে ভোগ খায়। তুমি এমন একটা পুরুষের স্ত্রী হতে চাও। ঝিলিক বলে আপনি কালিপদ সম্পর্কে  এত খোঁজ নিয়েছেন কই আমাকে আগে বলেননি তো। গৌরব বলে কেন তোমাকে আগে কেন বলতে যাবো তুমি আমার কে হও। ঝিলিক বলে আমিও তো সেটাই জানতে চাই আমি আপনার কে হই। হাম আপকে হ্যায় কৌন?তখন গৌরব বলে তোমার জন্য কালিপদই ঠিক আছে বলে সেখান থেকে চলে যাই।

 


 এদিকে ভুলো দা আঁখি কে  নিয়ে এসে ভাবতে থাকে। নিয়ে তো আসলাম কিন্তু আমি একা একা তুলব কিভাবে। তখন তো দুজনে নিয়েছিলাম একা নিতে গেলে তো ফেলে দেবো। তখনই সেখান দিয়ে সুলতা দি যাচ্ছিল। ভুলোদা সুলতা দি কে ডেকে নিয়ে দুজনে মিলে আঁখিকে জুডোর ঘরে নিয়ে যায়। আঁখিকে সেখানে শুইয়ে দিয়ে ভুলো দা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে চলে আসে। এদিকে দেবা রা তিনজন ঝিলিকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। বিয়েটা ভাঙতে পারলো কিনা সেটার জন্য চিন্তা করতে থাকে। তখন চার আনা বলে কোন সমস্যা নেই এখন তো দুইটা ঝিলিক দিদি  একজন না পারলে আরেক জন ঠিকই পারবে। ওরা বলে দুটো ঝিলিক মানে, চার আনা  বলে হ্যা ঝিলিক দিদি যেখানে থাকবে সেখানে ধোয়া দিতে হবে তারপরে দুটো ঝিলিক হয়ে যাবে। আমিতো কাল রাতে দেখেছি। ওর কথা কেউ বিশ্বাস করে না। দেবা ছাতা বাড়িতে যেতে চাইলে ওকে বলে তুই এভাবে যাবি নাকি তুই আগে বাঙ্গালী হ তারপরে যা।



 এদিকে ছাতা বাড়িতে বিয়ের মণ্ডপে সবাই কালিপদ এর জন্য অপেক্ষা করছিল। সে তো একবার বাথরুমে আর একবার মন্ডপে দৌড়াদৌড়ি করছে। এদিকে পুরোহিত মশাই বর কে তাড়াতাড়ি আসার জন্য তারা দিচ্ছে। তখন অর্ক বলে পুরুত মশায় আমার মনে হয় বিয়ের মন্ডপটা বাথরুমের  সামনে নিয়ে গেলে ভালো হতো। না মানে বর তো বাথরুমে বসেই বিয়েটা পড়বে, তাই আর কি  বলছিলাম। তখন কালিপদ বাথরুম থেকে এসে বলে আমি চলে এসেছি। তখনই ব্যাকগ্রাউন্ডে জামাই সেজে আমি হাজির হয়েছি গানটা বাজতে  থাকে। সেখানে আমরা একটা অনেক ফানি সিন দেখতে পাই, পুরুত মশাই কালিপদকে মন্ডপে বসতে বললে কালিপদ বলে আমি বসতে পারবো না আমি বসলে অন্য কিছু বেরিয়ে যাবে। মন্ডপের সবাই এই কথায় অনেক মজাই পাস ছিল । অর্ক বলে দাদা আসো তোমার একটা ছবি তুলি তখন কালিপদ বলে আমার এখন পোজ দেওয়া হবে না পোজ দিতে গেলে আমার অন্য কিছু বেরিয়ে যাবে সব ম্যান হলএর  ঢাকনা খোলা।। তখন সবাই অনেক হাসাহাসি করে। তখন সেখানে অর্ক এর বউ আসে শরবত নিয়ে আর বলে তুমি আমার দাদার ফটো তুলবে না। বলে যখন শরবতটা কালিপদকে খেতে বলে, কালীপদ কিছুতেই ওটা খাবেনা বলে তুই আমার কাছ থেকে দূরে যা। মা কপাল ভাটি বলেছে তুই আপন জনের মৃত্যুর কারণ হবি। তুই আমার কাছ থেকে সরে যা। ওদিকে আবার পিসি মনি মনে মনে ভাবতে থাকে আমার গোড়া টা যদি বাড়িতে থাকত তাহলে আখির  সাথে গোড়ার বিয়েটা দিয়ে দিতাম।। পিসি মনি বলে কালিপদর কপালে না বিয়ে নেই বুঝলে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে রাহুকেতুর কোপে  পড়েছে আমার গোড়ার আবার এসব কোনো সমস্যা নেই আমার গোড়ার কপাল একেবারে সাদা। ভাবছি গোড়া বাড়িতে এলে আখির সাথে বিয়েটা দিয়ে দেব।



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!