Deba becomes Ankhi is getting married written updates





 দুই শালিক সিরিয়াল এর  এক্সক্লুসিভ পর্বের আপডেট,


পর্বের শুরুতে দেখতে পাই আঁখি সেলাই মেশিন এ একটা রেডিমেট শাড়ী তৈরি কোরসিলো ঝিলিক এর জন্য । তখন সেখানে দেবা আসে খাবার নিয়ে আঁখি কে খাওয়ানোর জন্য।খেতে বললে আঁখি বলে আইটে শেষ করে খাবো। বাতাস এ আখির চুল গুলো উড়সিলো আখির কাজ করতে সমস্যা হস্ছে দেখে দেবা একটা ব্যান্ট এনে আখির চুল গুলো বেঁধে দেয়। আঁখি দেবার দিকে তাকিয়ে থাকে। ব্যাকগ্রাউন্ড এ একটা রোমান্টিক মিউসিক বাজতে থাকে। দেবা আঁখি কে বলে আগে খেয়ে তারপর কাজ কর। তখন দুজন মিলে খাই দেবা আঁখি কে জিজ্ঞেশ করে এটা কার জন্য তৈরি কোরসিস আঁখি বলে আমার একটা বন্ধুর জন্য।



অন্য দিকে ছাতা বাড়িতে গৌরব যখনি বাড়ি ফেরসিলো। তখন বৌদি গৌরব কে ডেকে বলে আঁখি যে টা করসে ওকে করতে বারণ করো। কি করসে গৌরব জানতে চাইলে বৌদি বলে আখির সাথে তোমার বিয়ে হয়েসে ঠিক ই কিন্তু আঁখি এ বাড়ির কাজ এর লোক ই থেকে গেসে তা না হলে কি আঁখি আজকে কাকামনির অফিস রুম পরিষ্কার করতে যাই।আগে তো কাকামনি আঁখি কে দিয়ে জুতা ও পরিষ্কার করতো। কিন্তু এখন তো আঁখি তোমার বৌ। তোমার সম্মান এর কথা টা ও তো ভাবতে হবে ওকে। গৌরব রেগে গিয়ে উপরে আখির কাছে যাই। বৌদি তো মনে মনে বলতে থাকে আমি আগুন লাগিয়ে দিয়েছি তোমার সংসার এ। এদিকে ঝিলিক ওই ছেড়া কাগজ টা কে জড়াতে চেষ্টা কোরসিলো। ওখানে কি  লেখা আছে বোজার চেষ্টা কোরসিলো। গৌরব এর পা এর আওয়াজ পেয়ে লুকিয়ে রাখে। গৌরব ঘর এর ভেতর এ ঢুকে আঁখি কে ধমক দেয়। বলে কেন গেছিলা বাবার অফিস রুম এ রুম কেন পরিষ্কার করসো, কাজের লোক তুমি?আগে কি করসো জুতা পরিষ্কার করসো। ঝিলিক বলে যদি করি তাহলে অসুবেধা কোথায় গৌরব বলে না তুমি এই বাড়ির কাজ এর লোক নও তুমি আমার স্ত্রী । ঝিলিক তখন বলে না আমি আপনার স্ত্রী  না যে লোক বিয়ের মণ্ডপ এ  স্ত্রী কে বলে আমি ওকে কোনোদিন ও বৌ হিসাবে মানবোনা। যে বৌ এর ভাত কাপড় এর দায়িকতো নিতে ভয় পাই। যে ফুলসজ্জার রাতে বলে আমি তোমার থেকে মুক্তি চাই। আমি তার বৌ নই। গৌরব তখন আঁখি বলে জোরে চিৎকার করে ওঠে রুম থেকে চলে যাই।




আঁখি ঝিলিক কে কল দিয়ে বলে তুমি কি আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে। ঝিলিক ও বলে হ্যা আমার ও তোর সাথে দরকার আছে। তারপর তারা দুজন দেখা করে। আঁখি ঝিলিক কে শাড়ী টা দেয় আর বলে এটা তোমার জন্য রেডি শাড়ী এটা পড়লে তোমার আর কষ্ট হবেনা। এটা পরে তুমি দৌঁড়াতেও পারবে। আর একটা পকেট ও আছে। তুমি তোমার ফোন রাখতে পারবে এখানে। ঝিলিক বলে তুই কেন হটাৎ আমার জন্য শাড়ী বানাতে গেলি। আঁখি বলে আমি তো তোমার বিয়ে তে কিছুই দিতে পারিনি এটা তোমার বিয়ের গিফ্ট। তখন দুজন দুজনকে জরিয়ে ধরে আর ব্যাকগ্রাউন্ড এ দুই শালিক গান বাজে। আঁখি বলে তুমি আমাকে দেখা করতে বলেছিলে কেন বল। তখন ঝিলিক বলে তোর নামের টাইটেল কি রায়। আখি বলে হে। ঝিলিক আবার প্রশ্ন করে  আর তোর মা বাবা? আখি উত্তর দেয় দেখো ঝিলিক আমি যতটা জানি সবই তো তোমাকে বলেছি ওই স্যারের কোম্পানির কর্মচারী ছিল আমার বাবা । ঝিলিক বলে না আমার তো অন্য কিছু মনে হচ্ছে। আচ্ছা তুই আমাকে বলতো পি আর কে কি তোকে দিয়ে কোন অফিসের কাগজে সই করাতো। আখি বলে হ্যাঁ করাতে তো বছরে একবার  আমার জন্মদিনের দিন। পিসি মনি আর বৌদি আমাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দিত। তারপর উকিল আঙ্কেল আসলে  আমাকে একটা কাগজে সই করাতো। তখন ঝিলিক জানতে চাই কবে রে তোর জন্মদিন।আঁখি বলে বাইশে এপ্রিল। তখন ঝিলিক অনেকটা অবাক হয়ে আর বলে আমার জন্মদিনে তো বাইশে এপ্রিল। আঁখি বলে তোমার আর আমার দেখা নিশ্চয়ই মা কালীর ইচ্ছায় হয়েছে। তুমি আর আমি তো একে অপরকে চিনতামও না। তারপরও দেখো আমাদের দুজনের কত মিল। দেখতেও একরকম আবার জন্মদিনে একই দিনে। তখন ঝিলিক মনে মনে ভাবে এ জন্যই কি তোর উপরে এত টান আমার। তোর বিপদে আমি বারবার ছুটে যাই। এতো রক্তের টান না যেন আত্মার টান।





 ঝিলিক আখিকে বলে আচ্ছা তোকে যে কাগজে সই করাতো এটা কিসের কাগজ। আখি বলে সেটা তো আমি জানি না ওই উকিল কাকু আসতো আর আমাকে সই করাতো একটা করে। ঝিলিক বলে এই উকিল কাকু টা কে রে। আঁখি বলে উনিও স্যারের কম্পানিরই উকিল। উনার নাম রজতাবু লাহেড়ী। আমি ছোটবেলায় উনার বাড়িতে থাকতাম। উকিল কাকুর বাবা আমাকে খুব ভালবাসতেন। উনি মারা যাবার পর স্যার আমাকে ছাতা বাড়িতে নিয়ে আসেন। তখন ঝিলিক বলে তোর জীবনের সাথে অনেক কিছু জড়িয়ে আছে। আর সবকিছুর সাথে মনে হচ্ছে টাকার লেনদেন আছে। সবকিছু জানার জন্য আমাকে আরো কয়েকদিন ছাতা বাড়িতে থাকতে হবে। আঁখি তখন বলে আরো কয়েকদিন মানে তুমি তো এখন থেকে ওখানেই থাকবে। গৌরব স্যারের বউ হয়ে। তখন ঝিলিক বলে না আঁখি গৌরব আমাকে  ডিভোর্স দেবে বলেছে। কোন কিছুই আমার নিজের নয় রে এ সম্পর্ক, পরিচয়, ভালোবাসা, কোনটাই না। আঁখি তখন বলে আমার না মনে হয় আমরা সবাইকে ঠকাচ্ছি। আমি দেবাকে ঠকাচ্ছি তোমার জুডোর  মেয়েরা তো আমাকে সন্দেহ করছে। তোমার মা বাবা তো জানেও না তাদের মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আমার মনে হয় সবাইকে সত্যিটা বলে দেয়া উচিত। ঝিলিক বলে এখন না আঁখি আমার তিনটি কাজ আগে করতে হবে। তুই কে সেটা জানা, পিআরকে কে শাস্তি দেওয়া, আর গৌরবের চোখে নিজেকে নিষ্কলঙ্ক প্রমাণ করা। গৌরব ক যেদিন আমি সবকিছু বলব সেদিন তুই আর দেবা এক হবি এটুকু সময় তুই আমাকে দে। তারপর দুজন দুজনের থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।




 এদিকে পি আর কে লোনের জন্য আসে। ব্যাংক এর লোক বলে এটাতো আগের সই এর সাথে ম্যাচ করে না। পিয়ার কে বলে যে সই করে সেই তো করেছে। আপনি কোনভাবে ম্যানেজ করে দিন আমি আপনাকে পুষিয়ে দেব। কিন্তু কিছুতেই রাজি হয় না উনি। পি আর কে মনে মনে ভাবতে থাকে এসব নিশ্চয়ই গৌরবের বুদ্ধিতে করেসে আঁখি। ইচ্ছা করে হয়তোবা সই ভুল করেছে যেন আমি লোন তুলতে না পারি। ব্যাংক থেকে বলে দেয় হয় আপনি সঠিক সই করে নিয়ে আসেন না হয়  তাকে সাথে করে নিয়ে আসেন। পে আর কে মনে মনে ভাবে আগে হলে তোর যখন ইচ্ছা নিয়ে চলে আসতাম। কিন্তু এখন গৌরব তো জামেলা করবে। ব্যাংক থেকে বলে দেয় ২৯ তারিখের ভিতরে ঠিকঠাক সই আনতে না পারলে আপনি আর লোন পাবেন না। আপনার পেপারস বাতিল হয়ে যাবে।




এদিকে আঁখি বাসায় ফিরে যাবার সময়। হঠাৎ করে দেবা বাইক নিয়ে চলে আসে। বলে বাইকে ওঠ। তুই এখানে কেন আসছিলি। আঁখি বলে আমার সেই বন্ধুর সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। তুমি এদিকে কি করছো। দেবা বলে আমার একটা দরকার এ এসেছিলাম। তখন গৌরব তার গাড়ির ভেতর থেকে আঁখিকে দেখে ফেলে দেবার বাইকে উঠতে। গৌরব রেগে গিয়ে  মনে মনে ভাবে আখি এখনো দেবার সাথে সম্পর্ক রেখেছে বিয়ের পরও।



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!